শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > গাজীপুরে প্রধানমন্ত্রী ‘মানবতার সেবার জন্যই আমার প্রতিটি প্রদক্ষেপ’

গাজীপুরে প্রধানমন্ত্রী ‘মানবতার সেবার জন্যই আমার প্রতিটি প্রদক্ষেপ’

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের কথা ভাবতেন, দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতেন।মা-বাবার কাছ থেকেই মানুষের জন্য কিছু করার শিক্ষা পেয়েছি। সরকারে এসে তা করার সুযোগও পেয়েছি। মানবতার সেবার জন্যই আমার প্রতিটি প্রদক্ষেপ।
বুধবার(৮ এপ্রিল’২০১৫)গাজীপুরের কাশিমপুর তেতুইবাড়িতে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করেন মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকের হাতে নিহত আমার পরিবারের সকল সদস্যকে।
তিনি বলেন, ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি আমি এই হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম। এরপর ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতোসিরি মোহাম্মদ নজিব বিন তুন আবদুল রাজাক, আমি এবং আমার ছোটবোন শেখ রেহানা যৌথভাবে এই হাসপাতালের কার্যক্রম উদ্বোধন করি।
মালয়েশিয়ার সেবা সংস্থা কামপুলান পেরুতান জহর (কেপিজে) এই আধুনিক হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে। এটি পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপ পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, এই হাসপাতালের সঙ্গেই আমরা একটি নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের দেশে রোগীর তুলনায় নার্সের সংখ্যা অনেক কম। পাশাপাশি উন্নতমানের নার্সের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণের জন্যই এখানে নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমরা আশা করছি এখান থেকে উচ্চশিক্ষিত দক্ষ নার্স বেরিয়ে আসবেন। তাঁরা দেশের পাশাপাশি বিদেশের হাসপাতালগুলোতে কাজের সুযোগ পাবেন।
জাতির পিতার আজীবনের স্বপ্ন ছিল এদেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা, জীবন-মানের উন্নয়ন করা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাই গরীব জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ১৯৯৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট গঠন করি। আমি এবং শেখ রেহানা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িসহ সব অর্থ-সম্পদ ট্রাস্টের হাতে তুলে দেই। এই ট্রাস্ট থেকে প্রায় ১ হাজার ৭০০ দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। দুঃস্থ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সহায়তা দেওয়া হয়। ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের চিকিৎসার ব্যয় মেটানো হচ্ছে।