শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > গাজীপুরে ধর্ষণে স্কুল ছাত্রী অন্ত:সত্বা, শিক্ষক গ্রেফতার

গাজীপুরে ধর্ষণে স্কুল ছাত্রী অন্ত:সত্বা, শিক্ষক গ্রেফতার

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর মহানগরীর সালনা এলাকায় ধর্ষণের পর ৮ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী অন্ত:সত্বা হওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সোহেল রানা (৪০), মহানগরের দক্ষিণ সালনা এলাকার মো: জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র এবং সালনা ল্যাবরেটরী স্কুলের শিক্ষক। সোমবার রাতে সালনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা মেট্রোপলিটন সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

থানার ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধর মামলার বরাত দিয়ে জানান, গত বছরের ১২অক্টোবর সকালে অন্যদের সঙ্গে ভিক্টিম ওই স্কুলের শিক্ষক মো: রুবেলের কাছে স্কুলে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট পড়ানো শেষে ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রুবেল স্যার চলে যান। এসময় ভিক্টিম ও তার দুই দুই বান্ধবী বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল, এসময় তাদের শিক্ষক সোহেল রানা ভিক্টিমের সঙ্গে কথা আছে বলে তার অপর দুই বান্ধবীকে বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা বলে স্কুলের গেইট আটকে দেন। পরে ভিক্টিমকে স্কুলের অফিস কক্ষে নিয়ে সোহেল নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী কান্নাকাটি শুরু করিলে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেয়। এসময় ঘটনাটি কাউকে বললে তাকে সহ পরিবারের সকলকে খুন করে ফেলার হুমকি দেয় ওই শিক্ষক। ভয়ে স্কুল ছাত্রী ঘটনাটি তার অভিভাবক বা বাবা-মাক কাউকেও জানায় নি। সম্প্রতি মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্বজনরা সালনা সেবা মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসা দিতে নিয়ে যায়। এসময় চিকিৎসকের পরামর্শে অল্টাসনোগ্রাম করলে ওই ছাত্রী প্রায় সাত মাসের অন্ত:সত্বা হওয়ার ঘটনা ধরা পড়ে। পরে ওই ছাত্রী সোহেল কর্তৃক তার ধর্ষণ ও তাকে প্রাণনাশের কথা প্রকাশ করে। এ বিষয়ে তার স্বজনরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ায় এবং স্থানীয়ভাবে বিচার না পেয়ে সোমবার রাতে সদর থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা। মামলার পর সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ সালনা থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় কাউন্সিল তানভীর আহমেদ জানান, স্কুল শিক্ষক সোহেলের ভাই মো: মামুন মঙ্গলবার সকালে সোহেলকে গ্রেফতারের খবর জানান। ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং পূর্বশত্রুতা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলেন মামুন।

ওসি সমীর আরো জানান, ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করতে প্রয়োজনে ভিক্টিমসহ সংশ্লিষ্টদের ডিএনএ টেস্ট করা হবে।