স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেষ পর্যায়ে জমে উঠেছে গাজীপুরে গরুর হাট। এক হাটের গরু অন্য হাটের লোকজন জোরপূর্বক ট্রাক থেকে নামিয়ে বিক্রি করাতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন গরু ব্যবসায়ীরা।
শনিবার সরেজমিন গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর গরুর হাটে গিয়ে দেখা যায় প্রচুর ভিড়। হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার পদভারে মুখরিত গরুর হাট।
গরুর হাটের ইজারাদার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন সরকার। হাটের পরিচালক আঃ আজিজ মাস্টার ও আইন উদ্দিন মোল্লা জানান, শত্রুতা করে পার্শবর্তী বারেন্ডার সিদ্বেশ্বরী ও জরুন ইটাখোলায় দুটি হাট বসানো হয়েছে নিয়ম ভেঙ্গে। কাশিমপুর বাজারে আসার পথে ওই দুটি হাটের ইজারাদাররা জোরপূর্বক ট্রাক থামিয়ে গরু বিক্রি করতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ করেন আজিজ মাস্টার। পরে পুলিশি সহায়তায় গরু উদ্ধার করে আনা হয়।
গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ি-কাশিমপুর শিল্পাঞ্চলের প্রধান গরুর হাট কাশিমপুর বাজার। গরুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর গরু আসছে, ক্রেতাও প্রচুর। মহাসড়কের একটু ভেতরে হাওয়ায় ঐতিহ্যবাহী কাশিমপুর গরুর হাট জমে উঠেছে। কাশিমপুর কোনাবাড়ি এমনিক আশুলিয়া রোড দিয়ে ঢাকা থেকেও কম দামে গরু কিনতে ক্রেতারা কাশিমপুর গরুর হাটে আসছেন।
গরু বিক্রেতা সিরাজগঞ্জের জগতলা গ্রামের আঃ রশিদের ছেলে আবুল হোসেন জানান, তিনি ১৬টি গরু এনেছেন। এর মধ্যে ১১টি বিক্রি হয়েছে।
গাজীপুর জেলা শহরের প্রধান গরুর হাট রথখোলায় গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতাদের তুলনায় গরুর আমদানিও প্রচুর। অনেক গরু হাটে আছে। আরো আসছে।
এদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে বসানো গরুর হাটও চলছে রমরমা। এছাড়া জেলার সবকটি উপজেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেছে গুরুর হাট। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ইজারা নিয়ে বসানো হয়েছে গরুর হাটগুলো। তবে ইজারা দিয়েই কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব শেষ। মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন মহলে নিয়মিত চাঁদা দিয়ে চলছে মহাসড়কের পাশে বসানো গরুর হাটগুলো।
