স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাওসার আহম্মেদের নামে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। জয়দেবপুর থানায় দায়ের করা এ মামলার {নং-০৭(৮)১৮} বাদি পরিবহন ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, মিজান, রাসেল , বাবুল মিয়া, সেলিম, জব্বার, বাবুল, ছোটন ও সুমন।
মামলার বিবরণে ও বাদির অভিযোগে জানা গেছে, নগরের কোনাবাড়ির জরুন এলাকার বাসিন্দা ফরিদুল ইসলাম কোনাবাড়ি থেকে সিরাজগঞ্জ রুটে চলাচল কারী বর্ষা নামের বাসের পরিবহন ব্যবসায়ী। পরিবহন ব্যবসা করায় ফরিদুল ইসলামকে গত ৩০ জুলাই ডেকে নিয়ে তাঁর কাছে কাওসার ও তার লোকজন বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাঁকে খুন জখম ও বাসে আগুন ধরিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয় এবং বাস চালাতে নিষেধ করে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানালে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং ফরিদুল সঙ্গীয় লোকজনসহ রাতে বাসায় ফেরার পথে এলোপাথারি মারধর করে জখম করে। এসময় তাঁর পকেট থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে মারধরে আহত ফরিদুলের সঙ্গে থাকা আক্তার পালোয়ান ও মনির হোসেনকে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এ বিষয়ে আজ (৪ আগস্ট) বেলা পৌনে তিনটায় কাউন্সিলর কাওসার এ মামলাটি মিথ্যা ও ভুয়া হিসেবে উল্লেখ্য করে বলেন, আমি ও আমার লোকজন চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নই। আমি যদি চাঁদাবাজ হতাম তাহলে জনগণ আমাকে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত করতো না। তিনি আরো জানান, মামলায় উল্লেখ নামের সাথে আমার পিতার নামের মিল নেই।