শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > গাজীপুরে গ্রেডেশনে শেফালীর পদোন্নতি বিধি বহির্ভূত

গাজীপুরে গ্রেডেশনে শেফালীর পদোন্নতি বিধি বহির্ভূত

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গ্রেডেশনে পদোন্নতি পাওয়া ছয় ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার মধ্যে একজনকে নিয়মবর্হিভূত ভাবে পদোন্নতি দেন গাজীপুর জেলা প্রশাসন। তিনি হলেন আলোচিত দুর্নীতিবাজ ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সেই শেফালী আক্তার।
জানা যায়, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ১০ জানুয়ারি ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি সংক্রান্ত যাচাই বাছাই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর অফিস কক্ষে। ওই সভায় তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মোহাম্মদ সাজিদ আনোয়ার, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর সঞ্জীব কুমার দেবনাথ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম।
সভায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গ্রেডেশন তালিকার ক্রমিক নং অনুসারে ১ থেকে ২০জন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর নামের তালিকা প্রস্তুত করেন। যা পদোন্নতির জন্যে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর প্রেরণ করেছিলেন। পরে ওই নামের তালিকার ১ থেকে ৬ পর্যন্ত ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল।
ওই সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছিল, গাজীপুর জেলার রাজস্ব প্রশাসনে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার মঞ্জুরীকৃত পদের সংখ্যা ৬১টি। ২০% হিসেবে রাজস্ব প্রশাসনের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর মধ্য থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণযোগ্য পদের সংখ্যা ১২টি। যার মধ্যে ৬টি শূন্যপদ সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জনকে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি, ১জনের মৃত্যুবরণ ও ১জনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়ার কারণে শূন্যপদ সৃষ্টি হয়েছে।
বাধ্যতামূলক ভাবে যাকে অবসর দেয়া হয়েছিল তাঁর নাম আব্দুর রহিম। তিনি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আপিল করে পুণরায় চাকুরি ফিরে পান। তিনি বর্তমানে কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত। এ কারণে শূন্য পদ ছিল প্রকৃতপক্ষে ৫টি। বর্তমানে গ্রেডেশনে পদোন্নতিতে ১২জনের স্থলে চাকরি করছেন ১৩ জন; যা সম্পূর্ণ নিয়মবর্হিভূত। ১ থেকে ৬ পর্যন্ত পদোন্নতি পাওয়া ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা যথাক্রমে আব্দুল বারী, মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ তাজ উদ্দিন, মহানন্দ বর্মন, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ও সব শেষে শেফালী আক্তার। উক্ত নিয়োগে পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত ব্যক্তিটি হলেন- ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা শেফালী আক্তার। তিনি কাপাসিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে প্রেষণে বর্তমান কর্মস্থল গাজীপুর (মহানগরের) গাছা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত।
এ বিষয়ে অভিজ্ঞজনরা মন্তব্য করে বলেন, কর্তৃপক্ষ বাধ্যতামূলক ভাবে কাউকে অবসরে দিলে সে যদি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আপিল করেন তবে পদটি ‘শূন্য’ ঘোষণা করা যায় না। ওই স্থানে শেফালীর পদোন্নতি ও নিয়োগটি বিধিবহির্ভূতভাবে হওয়ায় উপ-সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে তার চাকুরিকালীন বেতন-ভাতা সরকারের কোষাগারে ফেরৎ যোগ্য।