স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা : গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার ভোট ডাকাতির পরিকল্পনা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সেনা মোতায়েনের আহবান জানিয়ে তিনি বলেছেন, গাজীপুরে কোনো কলঙ্কজন অধ্যায় সৃষ্টি হলে তার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) দায়ী থাকবে।
ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সারা দেশ থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গাজীপুরে আনা হয়েছে। কোটি কোটি টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। এসব অপকর্ম রোধে সেখানে সেনা মোতায়েন প্রয়োজন।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘যুব সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমানতুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি নেত্রী সংসদ সদস্য আসিফা আশরাফী পাপিয়া, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, সরকার গাজীপুরে ভোট ডাকাতির পরিকল্পনা করেছে বলেই সেনা মোতায়েন করতে চাচ্ছে না। এজন্যই তারা সেনা মোতায়েনের বিরোধিতা করছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হঠাৎ করে সেনাবাহিনীর ওপর এতো মমতা বেড়ে গেল কেন। নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্যই তারা সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে চায়।
কিশোরগঞ্জ মার্কা নির্বাচন যাতে দেশে না হয় সেজন্য বিএনপি তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুর্নবহাল করার দাবি করছে বলেও উল্লেখ করেন ফখরুল।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, গাজীপুরে কোনো ধরনের কারচুপির চেষ্টা করলে সেখান থেকেই সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে।
আওয়ামী সরকারের সাড়ে চার বছরে দেশটা পুরোপুরি ফ্যাসীবাদী ও স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, সুপ্রিমকোর্টের রায়ের একটি অংশকে ব্যবহার করে নির্দলীয় তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চরিত্র হচ্ছে তারা ভিন্ন মতালম্বীদের সহ্য করতে পারে না। জনগনের ভোটে সরকার গঠন করে আবার সেই জনগণের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নেয়।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে হত্যাচেষ্টার দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে এই যুব সমাবেশের আয়োজন করা হয়।