বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > গাজীপুরে কুমিল্লা, ফেনী ১৫ গাড়ি ভাংচুর-আগুন

গাজীপুরে কুমিল্লা, ফেনী ১৫ গাড়ি ভাংচুর-আগুন

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
কুমিল্লা, ফেনী ও গাজীপুরে ৩টি যাত্রীবাহী বাস ও দুটি ট্রাকে আগুন দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১০টি যানবাহন ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধের ২৭তম দিন ও ৭২ ঘন্টা হরতালের প্রথম দিন এ ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সৈয়দপুর এলাকায় দুটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুবৃর্ত্তরা। এতে বাস দুটি সম্পূর্ণ অংশ পুড়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। শনিবার দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সৈয়দপুর এলাকায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী জোনাকি ট্রান্সপোর্ট ও এস আলম পরিবহনের (চট্ট মেট্রো-ব-১১-০৫৮৩) যাত্রীবাহী দুটি বাসের সামনে পরপর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে হরতাল-অবরোধ সমর্থকরা। এ ঘটনার পর বাস দুটির চালক ও যাত্রীরা নেমে পড়েন। এরপর বাস দুটিতে আগুন দেয় তারা। সংবাদ পেয়ে কুমিল্লা থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ততক্ষণে বাস দুটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস অফিস যুগান্তরকে অগ্নিকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে রোববার সকাল ৯টার দিকে ফেনীতে দু’টি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ এবং সিএনজি চালিত ছয়টি অটোরিকশা ও চারটি ট্রাক ভাঙচুর করেছে পিকেটাররা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে ট্রাংক রোডে ঝটিকা মিছিল নিয়ে এসে হরতালকারীরা ছয়টি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। একই সময় তাকিয়া বাজারে পণ্য লোড-আনলোড করার সময় চারটি ট্রাক ভাঙচুর করে তারা। পরে পিকেটাররা আরো দু’টি ট্রাকে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এছাড়া শহরের মহিপাল, এসএসকে রোড, কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে পিকেটিংয়ের চেষ্টা চালানো হয়। নাশকতা রোধে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
অপরদিকে রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় হরতাল সমর্থকরা। এছাড়া কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে সকাল ৭টায় গাজীপুর মহানগরের তেলিপাড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মিছিল করে শিবিরকর্মীরা। এসময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করে।
পরে পুলিশ আসার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হরতাল সমর্থকরা।