মোঃ হাবিবুর রহমান ॥
গাজীপুর: গাজীপুরে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র সোহাগ হত্যা মামলায় নয় জনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। বুধবার গাজীপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ, প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ রায় প্রদান করেন। দুপুরে জনাকীর্ণ আদালত আঙ্গিনায় রায় ঘোষিত হলে দন্ডিত আসামিদের স্বজনরা বুকফাটা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি গাজীপুরের রাজবাড়ি মাঠ এলাকায় সমবয়সী বখাটে সন্ত্রাসীরা ছুরিকাঘাতে সোহাগকে গুরুতর আহত করে। এরপর স্থানীয় ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সোহাগকে হাসপাতালে নেয়ার পথে একই সন্ত্রাসীরা পুনরায় হামলা ও ছুরিকাঘাত করে। অবশেষে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তুচ্ছ ঘটনায় বিরোধ ও বাকবিতন্ডার জেরে সোহাগকে হত্যার এই ঘটনায় তাঁর পালক পিতা আবুল হাসেম সুফি ১০ জনের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা {নং ২৮ (১) ২০১০} দায়ের করেন। পরে পুলিশ এই মামলায় ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে।
গাজীপুর জজ আদালতের এপিপি বাদী পক্ষের আইন কৌশলী এ্যাড. মোঃ আতাউর রহমান খান জানান, নিহত শাহাদৎ হোসেন সোহাগের পিতার নাম সাদিকুজ্জামান মাইজ ভান্ডারী। দুই বছর বয়স থেকে সোহাগকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার মুন্সীপাড়ার আবুল হাসেম সুফি লালন পালন করছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের আরো জানান, এই দায়রা মামলায় { নং ৫০৯/২০১১} ১৪ জনের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়। চার্জশীটভূক্ত ও ফাঁসির দন্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সেলিম (পলাতক), জহিরুল ইসলাম ওরফে ঝন্টু, জুয়েল (পলাতক), বাক্কা সুমন ওরফে সুমন, আশাদুল ইসলাম (পলাতক), তৌহিদুল ইসলাম প্রিতম ওরফে পিতু ওরফে ইতু, আরিফ, মোঃ হানিফ (পলাতক) ও রিপন আহম্মদ জুয়েল।