স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে (১৫) অপহণের পর ধর্ষণে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাঁচদিন পর ভিকটিম উদ্ধার। এবিষয়ে গত ২১ ডিসেম্বর শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ধারা: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০/ ২০০৩ (সংশোধিত) ৭/৩০।
আজ মঙ্গলবার ছাত্রীটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গাজীপুরে বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ভিকটিম চিকিৎসাধীন।
মামলার অভিযোগ ও ছাত্রীর মা, চাচা ও ভাই সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল পৌঁনে ৭টায় বরমী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ওইছাত্রী প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে রওনা হলে রাস্তায় খান জুট মিল এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। স্থানীয় বরমী গ্রামের বখাটে সজিব (১৮) দীর্ঘদিন যাবত ওই ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করে ব্যর্থ হয়ে ওইদিন সকাল বেলা সজিব তার বন্ধু মোখলেছ (১৮)সহ আরো অজ্ঞাত ২/৩ জন সহযোগী নিয়ে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে সিএনজি যোগে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। পাঁচদিন পর গত ২১ ডিসেম্বর রাত ৮টায় শ্রীপুর পৌর এলাকার থানা রোডে সিএনজি থেকে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হক ওইছাত্রী ও সজিবের মা নাজমাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে নাজমাকে রহস্যজনক ভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওইছাত্রী মা মোমেনা খাতুন, চাচা বাবুল জানান, অপহরণের পর তিন তরফায় আপোষ মিমাংসার জন্য বসা হয়েছে। প্রথম দফায় ছেলের চাচা বাচ্চু আর মাসুদের মধ্যস্থতায় বরমী বাজার কেন্দুয়া হাদিউল মৃধার অফিসে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় মেয়ের চাচা বাবুলের বাড়িতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন খোকনের প্রচেষ্টায়। ছেলের পক্ষের লোকজন বিয়ের প্রস্তাব ক্ষণে ক্ষণে দিয়ে কালক্ষেপন করে একপর্যায়ে ব্যর্থতা প্রকাশ করেন। ওইছাত্রীর মার অভিযোগ, মেয়েকে চার রাত অন্যত্রে আটক করে ধর্ষণ করা হয়েছে। অবশেষে মেয়েকে ভুলিয়ে-বালিয়ে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে সিএনজি করে ছেলে ও তার মা থানা রোডে নিয়ে ছেলে সটকে যায়। পরে থামানো সিএনজি থেকে ছাত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ছেলের মা নাজমাকে আটক করা হয়েছিল। পরে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। ছেলে পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় সকলে ম্যানেজ হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর শ্রীপুর থানায় অপহরণের বিষয়ে অভিযোগ দিলেও পুলিশ মেয়ে উদ্ধারে জোড়ালো ভূমিকা রাখেনি।
এ বিষয়ে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শ্রীপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান সেলফোনে জানান, এবিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। ভিটিমের মেডিকেল করানো হয়েছে। আসামী ধরার চেষ্টা চলছে।