শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > গাজীপুরের প্রশাসন ৪বার ভাংচুর করলেও অশ্লীল নৃত্য মেলা থেমে নেই রাজেন্দ্রপুরে

গাজীপুরের প্রশাসন ৪বার ভাংচুর করলেও অশ্লীল নৃত্য মেলা থেমে নেই রাজেন্দ্রপুরে

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥
পরপর চারবার রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকার অশ্লীল নৃত্য ও হাউজির মাঠ ভাংচুর করলেও গাজীপুর প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মেলার মালিক আরিফ মেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিরাতে স্থানীয় পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্তাব্যক্তিরা মেলার মালিকদের নিকট থেকে মোটা অংকের পেমেন্ট পাচ্ছেন। যে কারণে অনেকটা মেলা বন্ধের ব্যাপারে পুলিশ বিভাগ আন্তরিক নয়। জেলা প্রশাসন কিছুটা আন্তরিকতার সাথে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মেলা বন্ধ করলেও পরদিন থেকে আবার ওই স্থানেই মেলা চালু হয়।
ডিসেম্বর মাস স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। সামনে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। মেলা এলাকার স্কুল/কলেজের ছাত্ররা সন্ধ্যার পর মেলায় বিভিন্ন আইটেমের জুয়া খেলা শিখছে আবার কেউ অশ্লীল নারী নৃত্যের নেশায় ডুবে থাকছে। এদেরকে বখাটে বানানো হচ্ছে। অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। তাছাড়া মেলা এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা প্রকৃতির অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। এসব মেলায় মাদকদ্রব্যও বেনাকেনা হয়। মেলা এলাকার আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে। চলতি শীত মৌসুমে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে এসব মেলার হিরিক হঠেছে। প্রতিরাতে কোন না কোন স্থানে এ জাতিয় ২/৪টি মেলা চলছে।
মেলা এলাকার প্রভাবশালী কুচক্রী মহল ও পুলিশের মদদে এসব অশ্লীল নারী নৃত্য ও জুয়া খেলা হচ্ছে।
গত ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সত্যজিৎ রায় দাস রাজেন্দ্রপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভোলডোজার দিয়ে মেলার সামিয়ানা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। মাত্র ৫দিনের ব্যবধানে আবার চালু হয়।
গত ১০ ডিসেম্বর রাতে ওই মেলাটি আবারও ভ্রামমান আদালত পরিচালনা করে বন্ধ করে দেয়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেলার মালিক আরিফ (সেলফোনঃ ০১৭১০৫০০২৪৯) এবং তিন নৃত্য শিল্লীতে আটক করে। পরে আরিফকে কানধরে উঠবস করায় এবং আরিফ মেলা চালাবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে তাদেরকে ছেড়ে দেন।
কথায় আছে, চোর শুনেনা ধর্মের কাহিনী। পরদিন থেকে আবারও শুরু করে জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য মেলা। এখানের হাউজিসহ নানা নামে আরো জুয়ার বোর্ড রয়েছে। রাত গভীর হলে ভোর পর্যন্ত টিকিটের মাধ্যমে অশ্লীল নারী নৃত্য হচ্ছে। মেলা চালুর বিষয়টি সংবাদ পেয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে পুনরায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মেলাটি আবারও বন্ধ করে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ভ্রামমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সত্যজিৎ রায় দাস বলেন, রাজেন্দ্রপুরের মেলাটি এ পর্যন্ত চারবার ভাংচুর করা হয়েছে। আবারও চালাচ্ছে। আবারও ভাংগা হবে। তবে এবারও ভোলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।
আরিফ এ এলাকায়ই বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪মাস যাবৎ এ জুয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। সে কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়ন এলাকার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে আরিফ বলছেন, ‘হাইকোর্টের পারমিশন রয়েছে’। তবে হাইকোর্টের পারমিশনে ইনডোরের কথা উল্লেখ্য রয়েছে। বাশ, টিন ও ত্রিপল দিয়ে সামিয়ানা তৈরি করে হাউজি খেলাকে ইনডোর বলা যায় না।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, গাজীপুর মহানগরের বড়বাড়ি এলাকার জয়বাংলা রোডে আবারও জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য গত তিনদিন যাবৎ চালু করা হয়েছে। পূর্বে এ মেলাটি একাধিকবার প্রশাসন ভেঙ্গে দেয়।