বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > গাজীপুরের টঙ্গীতে হাসপাতাল কর্মী রিংকু হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি দুইজনের যাবজ্জীবন

গাজীপুরের টঙ্গীতে হাসপাতাল কর্মী রিংকু হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি দুইজনের যাবজ্জীবন

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর : গাজীপুরের টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় হাসপাতাল কর্মী আমির হোসেন রিংকু হত্যা মামলায় এক জনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় অপর দুইজনকে যাবজ্জীবন ও প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ডের রায় দেয়া হয়। আজ সকাল ১১টায় গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ. কে এম এনামুল হকের আদালত এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।

নিহত আমির হোসেন রিংকু ব্রাহ্মন বাড়িয়ার নবীনগর থানার কাঠালিয়া গ্রামের আবুল কাইউমের ছেলে।

মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আল আমিন ওরফে ছিনতাইকারী আলামিন বরিশালের কোতোওয়ালী থানার পলাশপুর গ্রামের শাহজাহান ফকিরের ছেলে।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, টঙ্গীর মরকুন টেকপাড়া এলাকার আজগরের ছেলে রকি ওরফে রাকিব এবং ব্রাহ্মন বাড়িয়ার কসবা থানার শাহাপুর গ্রামের ফজু মিয়ার ছেলে কাকন ওরফে কালন।

গাজীপুর আদালতের পিপি হারিছউদ্দিন আহম্মদ জানান, নিহত আমির হোসেন রিংকু টঙ্গীর গোপালপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় বসবাস করে উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে চাকুরি করতেন। তার সঙ্গে আসামী আল আমিন, রকি এবং কাকনের পূর্ব বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে গত ২০১৫ সালের ১২ জুন রিংকু বাসায় ফেরার পথে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতুতে পৌছলে মামলার অভিযুক্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। মুর্মূর্ষ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনার পরদিন নিহতের পিতা আবুল কাইউম টঙ্গী থানায় চারজনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ৭-৮জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক বেলাল হোসেন তদন্ত শেষে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। মামলায় স্বাক্ষীগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ সোমবার সকালে আদালত এই রায় প্রদান করেন। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
রাষ্টপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহম্মদ ও বিবাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান রিপন, আম্বিয়া আফরোজ (রতœা)।