রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > গাজায় অস্ত্রবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাব ইসরায়েলের

গাজায় অস্ত্রবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাব ইসরায়েলের

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ গাজায় মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের অস্ত্রবিরতি সম্প্রসারণের প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। তবে অসর্মথিত এক সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, তাদের এই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস।

এদিকে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে কায়রোতে মিশরের মধ্যস্থতায় পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিচ্ছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিরা। সেই আলোচনাতেই এসব কথা উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, গাজায় গত চার সপ্তাহের ইসরায়েলি হামলায় ১৮শয়ের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলের পক্ষে নিহত হয়েছে মাত্র ৬৭ জন যাদের বেশিরভাগই সৈন্য। এছাড়া দু পক্ষে সংঘর্ষে পরে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক থাই নাগরিক।
মঙ্গলবার ইসরায়েলের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিনদিনের যে যুদ্ধ বিরতি শুক্রবার শেষ হচ্ছে সেটা বাড়াতে প্রস্তুত তারা। তবে ফিলিস্তিনের একজন নেতা মুসা আবু মারজুক তার টুইটারে লিখেছেন সেখানে অস্ত্রবিরতি বাড়ানোর ব্যাপারে কোন চুক্তি হয় নি।
মিশরের মধ্যস্থতায় কায়রোতে যে আলোচনা চলছে সেখানে ফিলিস্তিনের প্রধান কিছু দাবির মধ্যে রয়েছে ২০০৭ সাল থেকে গাযার ওপর যে অবরোধ রয়েছে যেটা তুলে নেওয়া, সীমান্ত খুলে দেওয়া, আর গাজা পূর্ণগঠনে আন্তর্জাতিক তহবিল গঠন করা।
এদিকে ৭২ ঘণ্টা যুদ্ধ বিরতি চলাকালীন প্রথমবারের মত বেসামরিক লোক হতাহত নিয়ে মুখ খুললেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি হামাসকে দোষারোপ করে বলেন সমস্ত সাধারণ মানুষ নিহত হওয়ার জন্য হামাস দায়ী।তারা সাধারণ মানুষকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।
তিনি আরো বলেন ‘অবশ্যই সবাই বলেছে যে ইসরায়েলর আত্মরক্ষার অধিকার আছে এবং তাদের আমরা প্রশংসা করি যারা এটা বলেছে। কিন্তু এমন কিছু মানুষ আছে যারা হামাসের হামলাকে দায়মুক্ত করতে চাইছে এই বলে যে তারা স্কুল, হাসপাতাল ও মসজিদ থেকে হামলা করছে তাই আমাদের এর জবাব দেওয়া উচিত হবেনা।সেটা অবশ্যই একটা নৈতিক ভুল। কারণ তারা সাধারণ মানুষকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।’
এদিকে ইসরায়েলের সমালোচনা করে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, তারা বার বার জাতিসংঘের বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে।
জাতিসংঘের দেয়া তথ্যমতে গত ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া হামলায় যে একহাজার আটশ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে তার মধ্যে একহাজার তিনশ জনই বেসামরিক লোক। এছাড়া নিহতদের তালিকায় চারশো’র বেশি শিশুও রয়েছে।