বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এম মহিবুল হক বলেছেন, ‘এক শ্রেণির মানুষ মিডিয়া কাভারেজ পেতে অস্ত্র নিয়ে বিমানবন্দরে যাওয়া শুরু করেছেন। এরা হিরো সাজার আর কোনো প্রক্রিয়া রপ্ত করতে পারেননি।’
বিষয়টি এক ধরনের তামাশা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা করা একেবারেই সমীচীন নয়। অস্ত্র বহন করার আগে ঘোষণা দেয়া উচিত।’
বেশ কয়েকদিন ধরে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর বিশেষকরে আভ্যন্তরীণ টার্মিনালের চেকিংব্যবস্থা বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নকল পিস্তল ঠেকিয়ে বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনা ঘটে। যে ঘটনা দেশীয় গণমাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হয়।
সেই ঘটনার তদন্তের স্বার্থে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৬ নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ।
এদের মধ্যে পাঁচজন কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং একজনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই গত ৫ মার্চ আসল পিস্তল নিয়ে বিনা বাধায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আভ্যন্তরীণ টার্মিনালের স্ক্যানিং মেশিন পার হন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
এ ঘটনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৫ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের পর গতকাল (শুক্রবার) মামুল আলী নামের এক যাত্রী গুলিসহ পিস্তল নিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করলে চেকিংয়ে তার সেই অস্ত্র সনাক্ত করতে পারেননি নিরাপত্তাকর্মীরা।
একইরকম ঘটনা পরপর তিনবার হওয়ায় এ ধরনের কাজ করে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীসহ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) বিতর্কিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সচিব এম মহিবুল হক।
এসময় দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় বিমানবন্দরে দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীদের সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানান এই কর্মকর্তা।
তিনি যোগ করেন, ‘ঘোষণা না দিয়ে অস্ত্র নিয়ে বিমানবন্দরে গিয়ে নাটক বানিয়ে গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করাই এ কাজের উদ্দেশ্য।
ব্যক্তির চেয়ে দেশ বড় জানিয়ে গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মহিবুল হক আরও বলেন, ‘যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করুন। যারা দেশের ভাবমূর্তির চিন্তা না করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’