শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > গণমাধ্যমকর্মীদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা, ইসির অস্বীকার

গণমাধ্যমকর্মীদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা, ইসির অস্বীকার

শেয়ার করুন

বাংলাভুমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। অনেক কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। কোথাও কোথাও সরকারি দলের নেতাকর্মীরাও সাংবাদিকদের বাধা দিচ্ছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমতিপ্রাপ্ত গণমাধ্যম কর্মীরা।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শাজাহানপুর মড়েল সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মির্জা আব্বাস মহিলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে বাংলামেইলের এ দু’জন প্রতিবেদক ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এ সময় সেখানে কর্মরত শাহজাহান পুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুল বাংলামেইলসহ উপস্থতি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘কোনো সাংবাদিক ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। কোনো ছবিও তুলতে পারবে না। ওসি স্যারের নির্দেশ আছে।’

এসময় সাংবাদিকরা বলেন আমাদের তো নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমতিপত্র রয়েছে। জবাবে মো. সাইফুল বলেন, ‘আপনাদেরকে যে অনুমতি দিয়েছে তাকে বলবেন পুলিশ ছবি তুলতে দিচ্ছে না। তিনি যদি আমাদেরকে বলেন তখন ছবি তুলতে দেয়া হবে।’

পরে অপর পুলিশ সদস্য ওসিয়ার এই দুই সাংবাদিককে কেন্দ্র এলাকা থেকে বের করে দেন। পরে কেন্দ্র এলাকায় আর কোনো গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

উত্তরে বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুলিশ সাংবাদিকদের ঢুকতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সকাল ৮ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে উপরের নির্দেশে দোহায় দিয়ে ওই কেন্দ্র দায়িত্বর পুলিশ সদস্যরা কোনোভাবেই সাংবাদিকদের ঢুকতে দিচ্ছে না। সাংবাদিকরা ঢুকতে চাইলে পুলিশ সাংবাদিকদের কয়েক ঘণ্টা পর কেন্দ্রে ঢুকতে বলেছে।

সকাল ৯টা ২০মিনিটের দিকে উত্তরের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল কেন্দ্র পরিদর্শনে আসলে তিনি বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর পুলিশ সদস্যদের জিজ্ঞেস করেন, কেন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এসময় নাসির নামের দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমাদের উপর এভাবেই কাজ করার নির্দেশ আছে।’

কে বা কারা এ নির্দেশ দিয়েছে জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা কিছুই জানাননি।

এদিকে সকাল থেকেই বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তাবিথ আউয়ালের কোনো এজেন্টকে দেখা যায়নি। আনিসুল হকের এজেন্টরা সকাল থেকেই কেন্দ্রে অবস্থান করছে।

অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি। উপরন্ত তারাই তাবিথের এজেন্ট পরিচয় দিয়ে কেন্দ্রে অবস্থান করছে।

অথচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে গণমাধ্যমে কর্মীদের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে প্রদত্ত সাংবাদিক অনুমতিপত্রে বলা আছে, ‘এই কার্ডের বাহক ভোটদানের গোপন কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না।’ অন্যসব স্থানে বা ভোটারদের লাইনে প্রবেশের অনুমতি থাকলেও সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এমনকি প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গেও কথা বলতে পারেননি গণমাধ্যম কর্মীরা।

এদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এ দুটি ভোট কেন্দ্র ছাড়াও উত্তর সিটি করপোরেশনের বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বলে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক বাংলামেইলের কাছে অভিযোগ করেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ বলেন, ‘কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ঢুকতে না দেয়ার কোনো কারণ নেই। আমি যে কেন্দ্রে গিয়েছিলাম সেখানে এ অবস্থা দেখিনি। আর এমন কোনো অভিযোগও আমাদের কাছে আসেনি।’ বাংলামেইল২৪ডটকম