শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > গঠনতন্ত্রের পাঁচগুণ সদস্য নিয়ে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

গঠনতন্ত্রের পাঁচগুণ সদস্য নিয়ে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত সদস্য সংখ্যার চেয়ে প্রায় পাঁচগুণ বেশি সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১১টার দিকে তিনি এ কমিটির অনুমোদন দেন বলে ছাত্রদলের একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছে।

ছাত্রদলের গঠনতন্ত্রের ১৭ ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৫১ হওয়ার কথা থাকলেও ঘোষিত নতুন কমিটিতে সদস্য সংখ্যা ৭৩৬।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের নাম জানানো হয়।

২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর রাজিব আহসানকে সভাপতি এবং আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫৩ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেন খালেদা জিয়া। কমিটি ঘোষণার পরপরই পদবঞ্চিত নেতারা একাধিকবার পল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। পরে সিনিয়র নেতাদের মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ সামাল দেওয়া হয়।

কমিটির আকার সম্পর্কে জানতে ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে উভয়ের মুঠোফোনই বন্ধ পাওয়া যায়।

কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার দীর্ঘদিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ এর বিভিন্ন হল শাখা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা জেলা ও মহানগরের চার শাখায় নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শনিবার এসব শাখা কমিটির অনুমোদন দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি করা হয়েছে মাস্টারদা সূর্যসেন হলের আল মেহেদী তালুকদারকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে কবি জসীম উদ্দীন হলের আবুল বাশার সিদ্দিকীকে।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত বিজয় একাত্তর ও মেয়েদের পাঁচটি হল ছাড়া বাকি হলগুলোতে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি করা হয়েছে রফিকুল ইসলাম রফিককে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে আসিফুর রহমান বিপ্লবকে।

ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি করা হয়েছে মিজানুর রহমান রাজ এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সাজ্জাদ হোসেন রুবেলকে।

ঢাকা মহাগর দক্ষিণের সভাপতি করা হয়েছে জহির উদ্দিন তুহিনকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে এমএ গাফফারকে।

ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি করা হয়েছে খন্দকার এনামুল হককে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে গিয়াস উদ্দিন মানিককে।

ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি করা হয়েছে কামরুজ্জামান জুয়েলকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সাফায়েত রাব্বিকে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন সোহেল রানা এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আবদুর রহিন সৈকত।

ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন মাসুম এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেজাউল করিম জুয়েলকে।

ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন কাজি মাসুদ করিম এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মিজানুর রহমান।

সরকারি তীতুমীর কলেজের সভাপতি হয়েছেন তসলিম আহমান মাসুম এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন আমিনুল হক হিমেল।

তেজগাও কলেজের সভাপতি দায়িত্ব পেয়েছেন আমিনুল ইসলাম জাকির এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন নাজমুল আহসান সোহেল।

সরকারি কবি নজরুল কলেজের সভাপতি হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন রিন্টু এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আরিফ হোসেন।

সরকারি বাঙলা কলেজের সভাপতি হয়েছেন আইয়ুব আলী এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আবুল হাসান টিটো।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি হয়েছেন শফিকুল ইসলাম নোবেল এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন মোস্তাকিম উদদৌলা মার্শালকে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি করা হয়েছে মোক্তাদির হোসেন তরু এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মাহাতাব উদ্দিন জিমিকে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজকে কেন্দ্রীয় সংসদের অধীনে নেওয়া হয়েছে।