বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
খেলাপি ঋণে জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ব ৬টি ব্যাংক। সোনালী,অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএল। এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের ৩৫ শতাংশ ঋণ নিয়ে রেখেছে ১২০ জন গ্রাহক। তাদের হাতে আটকে আছে ১০ হাজার কোটি টাকা। দীর্ঘ সময়েও খেলাপি ঋণ আদায় করতে না পেরে ঝুঁকিতে রয়েছে ব্যাংকগুলো। টিকিয়ে রাখতে বছর বছর দেওয়া হচ্ছে সরকারি সহায়তা। গোপন রাখার চেষ্টা চলছে খেলাপিদের পরিচয়। এই অবস্থায় তথ্য উন্মুক্ত করার দাবি বিশ্লেষকদের।
অর্থমন্ত্রণালয়র এক প্রতিবেদন বলছে, গত ডিসেম্বর শেষে ৬ রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকের ২৭ হাজার ৭শ’ ৪২ কোটি টাকার খেলাপির মধ্যে শীর্ষে ১২০ গ্রাহকের কাছেই রয়েছে ৯ হাজার ৯শ’ ১৫ কোটি টাকা। যা মোট খেলাপির ৩৫ শতাংশ।
সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংগুলোর সিস্টেমটাকে আরও সহজ করে এই সমস্যা সমাধান করা উচিত। তদারকি এবং খেলাপি গ্রাহক চিহ্নিতকরণের ব্যবস্থা রেখে এই সমস্যা সমাধান করা উচিত।
সোনালী ব্যাংকের ৮ হাজার ৯শ’ ৩৯ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের মধ্যে শীর্ষ ২০ গ্রাহকের কাছে রয়েছে, ২ হাজার ৮শ’ ৩৪ কোটি টাকা। আর অগ্রণী ব্যাংকের মোট ৫ হাজার কোটি টাকার খেলাপির মধ্যে শীর্ষ ২০ জনের কাছে আটকে আছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ঋণ খেলাপির নামও আমরা জানি না। তাদের শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার বলছে, আমরা চেষ্টা করছি তার সাথে কথা বলে পরিকল্পনা করে, মাথায় হাত বুলিয়ে, ভয় দেখিয়ে টাকাটা আদায় করতে। কিন্তু এই ইদুর বিড়াল খেলা দিয়ে তো এই সমস্যা সমাধান হবে না।
এদিকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সোনালী, রূপালী ব্যাংকের যে ঋণ খেলাপি রয়েছে তাদের নাম প্রকাশ করা উচিত।
সূত্র: যমুনা টেলিভিশন।