স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এসময় তাদের বক্তব্য শুনেন তিনি।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছাত্রদল নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন খালেদা।
এসময় প্রায় ৪ থেকে ৫শ ছাত্রদের মধ্য থেকে ৩০ থেকে ৩৫ জন ছাত্রনেতার বক্তব্য শোনেন খালেদা জিয়া।
জানা গেছে, মুজিব হলের রনি নামে এক ছাত্রনেতা কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেনের পক্ষে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘একমাত্র আকরাম ভাই আন্দোলনের মাঠে ছিল।’ রনির এমন বক্তব্যে উপস্থিত ছাত্রনেতারা তখন ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার করতে থাকেন। আবার কেউ কেউ ছাত্রলীগ-শিবির বলেও হট্টগোল করেন।
এসময় বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনিসহ অন্য নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করেন।
তখন খালেদা জিয়া বলেন, ‘নিয়মিত ছাত্রদের দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি গঠন হবে। এছাড়া সিনিয়র-জুনিয়রদের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি হবে।’
চেয়ারপারসনের সঙ্গে হট্টগোলের বিষয়ে বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘গতকাল ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ম্যাডাম যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আজ তা থেকে নিশ্চই তিনি সড়ে যাবেন। যারা হট্টগোল করেছে তারা অপরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছে। ম্যাডামের সামনে এই ধরনের পরিস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয়।’
এক ছাত্রনেতা বলেন, ‘এটা একটা অনুনাষ্ঠিক বৈঠক ছিল। গতকাল আমাদের নিয়ে বসেছেন। আজকের বিষয়টা অনেকেই জানে না।’
ওই বৈঠকে ছিলেন এসএম হলের শাওন। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। আমরা যারা কমিটির বাইরে রয়েছি তাদের পক্ষ থেকে একটা দাবি করা হয়েছে। আর তা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে কমিটি দেয়া হোক। কমিটি হলে আমাদের কার্যক্রম চাঙা হবে।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ আরেফিন বলেন, ‘আমরা ম্যাডামের অনুগত। তার ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা তাই মাথা পেতে নেব। সে অনুযায়ী কাজ করবো।’
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নিয়মিত ছাত্রদের মধ্য থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কমিটি করা হবে। আর এ কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
এ বিসয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মহিদুল হাসান হিরু বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) আমরা ছিলাম। আজ আমি যাইনি।’