শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > খালেদার দুই লিভ টু আপিল খারিজ ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

খালেদার দুই লিভ টু আপিল খারিজ ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠন ও অভিযোগপত্রের (চার্জশিট) বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার করা দুই লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা) আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে এ খারিজের আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।

অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা অপর লিভ টু আপিল আবেদনের শুনানি সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত ২০ ও ২৩ নভেম্বর দুই কার্যদিবসে জিয়া অরফানেজ মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শুনানি করেন খালেদার আইনজীবী খোন্দকার মাহবুব হোসেন ও এ জে মোহাম্মদ আলী। অন্যদিকে গত ১৭ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত তিন কার্যদিবসে একই মামলার অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে লিভ টু আপিল আবেদনের শুনানি করেন খালেদার অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

এদিকে রোববার (২৩ নভেম্বর) থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা অপর লিভ টু আপিল আবেদনের শুনানি শুরু করেছেন খোন্দকার মাহবুব হোসেন। সোমবারও এ বিষয়ে শুনানি করবেন তিনি।

রাজধানীর বকশীবাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত ঢাকার অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-৩ এ খালেদার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা দুই দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে। বিচারিক আদালতে বেশ কয়েকবার পেছানোর পর সোমবারই (২৪ নভেম্বর) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার প্রথম সাক্ষী ও বাদীর অসমাপ্ত সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় দুর্নীতি মামলা করে দুদক।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালের ৯ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পরে ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে হাইকোর্ট রুল নামঞ্জুর করেন।

২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন খালেদা।

অন্যদিকে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।

বিচারিক আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় গত ১৯ মার্চ দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ মোট ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পরে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে দু’টি মামলায় দু’টি রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট এ রিট আবেদন খারিজ করে দিলে আপিল বিভাগে আপিল করেন তিনি।

গত ১৭ নভেম্বর থেকে এ তিন আপিলের শুনানি একসঙ্গে শুরু হয়।

গত ১৪ অক্টোবর চেম্বার বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিয়া আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আপিল তিনটির শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ২৩ অক্টোবর এ তারিখ এগিয়ে (পরিবর্তন) আনার জন্য আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৬ অক্টোবর এ আবেদন মঞ্জুর করে শুনানি এগিয়ে ৬ নভেম্বর পুনর্র্নিধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগ।

পরে ৯ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য থাকলেও তা পেছাতে সময়ের আবেদন জানান খালেদার আইনজীবীরা। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি পিছিয়ে ১৬ নভেম্বর পুনর্র্নিধারণ করেন আদালত। ১৭ নভেম্বর কার্যতালিকায় এলে শুনানি শুরু হয়। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম