বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
আহমেদাবাদ (গুজরাট) থেকে: আহমেদাবাদের খাবারের দোকানগুলো মন কাড়েনি। বরং যথেষ্টই নোংরা ঘিঞ্জি মনে হয়েছে। খাবারের দোকানে দাম চড়া, কিন্তু মানে ততোটা উন্নত নয়, সেকথা বলাই যায়। শহরে প্রধান প্রধান যেসব খাবারের দোকান রয়েছে সেগুলোতেও উন্নত মান পাওয়া যায়নি। এমনকি ম্যাকডোনাল্ডসও দিল্লি কিংবা কলকাতার মান ছুঁতে পারেনি।
এদিকে খবর বেরিয়েছে, খাবারের দোকানগুলোর প্রতি তিনটির মধ্যে একটিই লাইসেন্সবিহীন।
মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের একটি সাম্প্রতিক জরিপেই এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়েছে, ৭২৯টি প্রধান খাবারের দোকানের ২৬৯টিই চলছে লাইসেন্স ছাড়া।
খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, ২০০৬ সালে ভারতে নিরাপদ খাদ্য আইন করে প্রতিটি খাবারের দোকানকে লাইসেন্সভূক্ত হয়ে চালানোর কড়া নির্দেশনা রয়েছে। আর খাবার স্বাস্থ্যসম্মত, মানসম্মত ও নিরাপদ রাখারও নির্দেশনা আছে এ আইনে।
আহমেদাবাদ শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া সবরমতী নদীর দুই দিকে গড়ে উঠেছে অনেক আবাসিক হোটেল। এ নদীর তীর সাধারণের কাছে আকর্ষণীয় স্থানও বটে। আর এ কারণেই এই সবরমতীর পাশে রয়েছে অনেক স্থায়ী খাবারের দোকান। এছাড়া অনেক মেকশিফট (অস্থায়ী) দোকান বসে প্রতি সন্ধ্যায়, যা গভীর রাত পর্যন্ত চলে।
এসব খাবারের দোকান ঘুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশই মনে হয়েছে। দিল্লিতেও ফুটপাতের খাবারের দোকানগুলো সে তুলনায় গোছানো ও পরিপাটি।
মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বলছে, ছোট ছোট কতো খাবারের দোকান বসছে, সে নিয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে এবার বিষয়টিকে কড়া করেই ধরেছে আহমেদাবাদ কর্তৃপক্ষ। তারা ঘোষণা দিয়েছে, লাইসেন্সবিহীন সব দোকানই বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তবে বন্ধ করে দেওয়ার আগে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে দোকানগুলোকে। পৌর কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে অভিযানও চলছে ঘন ঘন।
কথা হচ্ছিলো সবরমতী নদীতীরে লাল দরজা এলাকার বিখ্যাত ‘লাকি হোটেল’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। আহমেদাবাদে সেরা চায়ের জন্য খ্যাতি রয়েছে লাকি হোটেলের।
দূর দূরান্ত থেকেও অনেকেই এখানে আসে কাপ ভর্তি চা পান করতে। সঙ্গে মাখন রুটি।
লাকি হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা মিউনিসিপ্যালটির লাইসেন্স নিয়েই ব্যবসা করে আসছে। প্রায় তিন দশক আগে এ হোটেল চালু হয়, যা এখনো সুনামের সঙ্গে মান বজায় রেখে ব্যবসা করছে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম