রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > খাদ্যে ভেজাল প্রমাণে ৫ বছরের দণ্ড ও জরিমানা

খাদ্যে ভেজাল প্রমাণে ৫ বছরের দণ্ড ও জরিমানা

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিরাপদ খাদ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণে রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রণসহ খাদ্যের ভেজাল প্রতিরোধের লক্ষ্যে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন বিধান রেখে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩’ নামে একটি বিল সংসদে পাস হয়েছে।

সোমবার জাতীয় সংসদে খাদ্য মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটির ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনীর জন্য বিরোধী দলের কয়েকজন সদস্য নোটিশ দিলেও তাদের অনুপস্থিতির কারণে তা উত্থাপিত হয়নি।

বিলে খাদ্যে ভেজালের জন্য সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন- ‘পিওর ফুড অর্ডিন্যান্স, ১৯৫৯’ রহিত করে এই বিলটি পাস করা হয়। এতে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা এবং কেন্দ্রীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি গঠনের বিধান রাখা রয়েছে। আইনে উৎপাদনকারী, মোড়ককারী, বিতরণকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের দায়বদ্ধতা এবং অপরাধের বিষয় সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। আইনের অধীনে অপরাধের জন্য মামলা দায়ের করে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড/অর্থদণ্ড প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে।

আইনে খাদ্যে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর অথবা বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী রাসায়নিক দ্রব্য বা তার উপাদান বা বস্তু যেমন ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ফরমালিন, সোডিয়াম সাইক্লামেট, কীটনাশক বা বালাইনাশক, সুগন্ধি ইত্যাদি খাদ্য দ্রব্য বা খাদ্যোপকরণে ব্যবহার নিষিদ্ধ করে অমান্যকারীর জন্য সর্বোচ্চ ৫ বছরের এবং অন্যূন্য ৪ বছরের কারাদণ্ড বা অনুর্ধ্ব ১০ লাখ টাকা অন্যূন্য ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

আইনে এ ধরনের অনান্য অপরাধের জন্য আলাদা শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। ১৩ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে আমলযোগ্যতা অর্থ্যাৎ বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে এবং এসব অপরাধকে অজামিনযোগ্য করা হয়েছে। বাকি অপরাধ সমুহকে অআমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য করা হয়েছে।