বিনোদন ডেস্ক ॥ চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ার নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন চিত্রনায়িকা পপি। গত দুই বছরেও নতুন কোনো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেননি তিনি। যে ছবিগুলোর শুটিং শেষ করেছেন, সেগুলোও মুক্তি পাচ্ছে না। এ নিয়ে পরিচালকদের মধ্যেও কোনো তোড়জোড় নেই। তাছাড়া তার অভিনীত কয়েকটি ছবি সেন্সরে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে। সব মিলিয়ে চলচ্চিত্রের ওপর আর ভরসা পাচ্ছেন না তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী।
জাহিদ হোসেনের ‘লীলামন্থন’ এবং নারগিস আক্তারের ‘পৌষ মাসের পিরিতি’ ও ‘শর্টকাটে বড়লোক’ ছবির শুটিং অনেক আগেই শেষ করেছেন পপি। কিন্তু এখনো এগুলো মুক্তি না পাওয়ায় প্রচ- হতাশ তিনি। তাছাড়া তার অভিনীত ‘আদরের বড় ভাই’ ও ‘দ্য ডিরেক্টর’ দীর্ঘদিন ধরে সেন্সরে আটকে রয়েছে। সাদ্দাম হোসেন মাসুমের ‘বিয়ে হলো, বাসর হলো না’ ছবিটি মুক্তি পাবে পাবে বলে পাচ্ছে না। এছাড়া জাকির হোসেনের ‘চার অক্ষরের ভালোবাসা’ ছবিটিরও কোনো খবর জানেন না পপি।
এ সম্পর্কে অক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘আমি সব ছবির কাজই সময়মতো করে দিয়েছি। কিন্তু পরিচালক-প্রযোজক ছবি মুক্তি না দিলে করার কিছু নেই।’
১৯৯৬ সালে ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ ছবির মাধ্যমে পপির রুপালি পর্দায় পদচারণা ঘটে। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত এই ছবিতে তার সহ-শিল্পী ছিলেন শাকিল খান। তবে পপি অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘কুলি’। এই ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ওমর সানী। এরপরই প্রয়াত মান্নার প্রযোজনায় ‘লাল বাদশা’ ছবিতে অভিনয় করে পপির খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। গত ১৮ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে পপি সহ-শিল্পী হিসেবে পেয়েছেন শাকিল খান, ওমর সানী, মান্না, রিয়াজ, ফেরদৌস, বাপ্পারাজ, আমিন খান, শাকিব খান, ইমন এবং নিরবকে। সর্বশেষ, বছর দুয়েক আগে তার ‘গার্মেন্টস কন্যা’ ছবিটি মুক্তি পায়।