শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > কেসিচ সরে যাওয়ার পর রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প

কেসিচ সরে যাওয়ার পর রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

ঢাকা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়ন লড়াইয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ ও একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জন কেসিচ। বুধবার তিনিও প্রার্থিতার লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে নভেম্বরের নির্বাচনে ধনকুবের ট্রাম্পই হচ্ছেন রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে মনোনয়নের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্পের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী টেড ক্রুজ। এরপর ওহাইয়োর গভর্ণর জন কেসিচ ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী। ইন্ডিয়ানায় শোচনীয় ও পরাজয় সত্ত্বেও আগামী জুলাই মাসে অনুষ্ঠেয় রিপাবলিকান দলের মহাসম্মেলন পর্যন্ত এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন রিপাবলিকান দলের এই নেতা। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে প্রচারণার সব কর্মসূচি বাতিল করে নিজ রাজ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থিতার লড়াই থেকে নিজের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন জন কেসিক।

ওহাইওর কলাম্বাসে নিজের সমর্থকেদের সামনে এক আবেগঘন বক্তৃতায় কেসিচ বলেন ‘আজ থেকে আমার সকল নির্বাচনী প্রচারণা বাতিল করছি। তবে আমি আমার বিশ্বাসকে নতুনভাবে স্থাপন করেছি। আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি ঈশ্বর নিশ্চয়ই আমাকে সামনে এগিয়ে যাবার পথ দেখাবেন এবং আমার জীবেনের উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেন। আমাকে সমর্থন করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। ঈশ্বর আপনাদের সহায় হোন।’

জন কেসিচ সরে দাঁড়ানোতে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনেকটা নিশ্চিতভাবেই রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর মূল প্রতিপক্ষ টেড ক্রুজ নির্বাচনের মনোনয়ন দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর পর দলের সদস্যদের প্রতি তিনি তাকে সহায়তা করার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হিলারি ক্লিনটনের মতো ডেমোক্রেট নেতাকে পরাজিত করতে এবার তাদের মনোযোগ দিতে হবে। যদিও কিছু সিনিয়র রিপাবলিকান বলেছেন, তারা কোনোভাবেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছেন ডেমোক্রেট দলের হিলারি ক্লিনটন। যদিও তিনি ইন্ডিয়ানা প্রাইমারিতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্সের কাছে হেরে গেছেন। তবে প্রতিনিধিদের সংখ্যা বেশি থাকায় এখনো সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন সাবেক এই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি। ট্রাম্পের রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হবার পর সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, ট্রাম্প নেতিবাচক প্রচারাভিযান চালিয়েছেন।