শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > সারাদেশ > কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনী প্রচারণা তুঙ্গে

কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনী প্রচারণা তুঙ্গে

শেয়ার করুন

বিল্লাল হোসেন
নরসিংদী প্রতিনিধি ॥
গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা মিটিং মিছিল উঠান বৈঠকে ব্যস্ততম সময় পার করছেন । সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত প্রাথীরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন। পিছিয়ে নেই কাউন্সিলার প্রার্থী, ভোটার ও দলীয় লোকদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সবাই চেষ্টা করছে। এই নির্বাচনে মহিলা ভোটারদেরকে সব চেয়ে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে প্রার্থীরা মহিলা সমাবেশ করছে নিজেদের পক্ষে রাখার জন্য। এ সমস্ত সমাবেশে পক্ষ ও প্রতিপক্ষের প্রতি কড়া সমালোচনা করে দোষ-গুণ তুলে ধরছেন। বিভিন্ন দলের একাধিক প্রার্থী প্রচার প্রচারণা করতে দেখা যাচ্ছে। বড় দুই দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ এর প্রার্থীরা প্রচারণায় এগিয়ে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে কালীগঞ্জ পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ২০১৩ সালের ২০ জুন কালীগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নির্বাচন সম্পন্ন হয়। ২০১৩ সালের ২০ জুন অনুষ্ঠিত কালীগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে প্রথমে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট নেওয়ার কথা থাকলেও পরে ব্যালট পেপার ও বাক্সের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়। ওই নির্বাচনে শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিল। ওই নির্বাচনে মেয়র পদে দুজন, নয়টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫২ জন ও তিনজন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সে সময় পৌরসভার মোট ভোটারসংখ্যা ছিলো ৩০ হাজার ৪৯৬ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৪০১ জন ও নারী ১৫ হাজার ৯৫ জন।
কালীগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়ে ছিলো মোঃ লুৎফুর রহমান। তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ১৬ হাজার ২৪৪ ভোট পায়। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আমজাদ হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়ে ছিলো আট হাজার ৪০৬ ভোট।
বর্তমান মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ লুৎফুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে কালীগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হিসেবে জনগণের সেবা দিয়ে আসছি, এমনকি করোনা কালীন সময় অনেক নেতা কর্মীরা ঘরের বাইরে বের হননি ঠিক তখন আমি নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি কোন বাড়িতে সমস্যা থাকলে সাথে সাথে তা সমাধান করা চেষ্টা করেছি। কালীগঞ্জ পৌর এলাকায় আমার আমলে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, দুর্নীতি ও অনিয়ম যাতে না হয়, প্রশাসনের সাথে সর্বক্ষন যোগাযোগ রেখে বন্ধ করেছি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন পৌর নির্বাচনে ভোটাররা আবারও আমাকে ভোটের মাধ্যমে কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হিসেবে রাখবেন বলে আমি আশা করি।
এদিগে কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম রবিন হোসেন বলেন, আমাকে দলীয় মনোয়নের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আমি নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করবো। দলের নেতা কর্মীরা ও পৌর এলাকার জনগণ আমার পক্ষে কাজ করবে বলে আশাবাদী। আমি মনে করি অতীতে কালীগঞ্জের জনগণ উন্নয়নমূলক যা পেয়েছে তা আমার নেত্রীর গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জের) এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয় সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকির নিকট থেকে পেয়েছে। তিনি নিজের অর্থায়নে বহু রাস্তা, ঘাঠ, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দির দীর্ঘদিন ধরে অনুদান দিয়ে আসছেন, মহিলাদের সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে বিনামূল্যে সেলাইর মেশিন দিয়েছেন। কালীগঞ্জ পৌর সভার পুরুষ, মহিলা ভোটাররা আমার নেত্রীর দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণ একটি পরিছন্ন পৌরসভা চায় এবং ইতিমধ্যে আমাকে দলীয় মনোয়নের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আমি নৌকা মার্কা নিয়ে বিজয়ী হয়ে পিছিয়ে পড়া কালীগঞ্জ পৌরসভাকে এগিয়ে নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।
বিএনপির প্রার্থী বলেন
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আসন্ন কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন কালীগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ আহমেদ মৃধা। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের বর্ত্তুল গ্রামে বিএনপির সাবেক এমপি একেএম ফজলুল হক মিলনের বাসভবনে পৌর বিএনপির উদ্যোগে এক কর্মিসভায় তৃণমূল নেতৃবৃন্দ ও বিএনপির নীতিনির্ধারকসহ সকলের সম্মতিক্রমে পৌর নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থী হিসেবে ফরিদ আহমেদ মৃধাকে মনোনীত করা হলেও মাঠে তেমন প্রচারণা নেই।