শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > সারাদেশ > কালীগঞ্জে হেকিম মেম্বারের ক্রয়কৃত জমি বেদখলের পায়তারা > থানায় দু’পক্ষের অভিযোগ

কালীগঞ্জে হেকিম মেম্বারের ক্রয়কৃত জমি বেদখলের পায়তারা > থানায় দু’পক্ষের অভিযোগ

শেয়ার করুন

মো. রফিকুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর: কালীগঞ্জে ক্রয়কৃত জমি বেদখলের পায়তারা চালাচ্ছে এক প্রভাবশালী চক্র। জমির পিলার ও কাঁটা তারের বেড়া রাতের অন্ধকারে প্রভাবশালীরা নিয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি মেম্বার হেকিম ফরাজী তার ক্রয়কৃত জমিতে কাজ করতে গেলে প্রতিপক্ষ মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের হারুন গং বিভিন্নভাবে বাঁধা প্রদান এবং জমির গাছপালা কাটাসহ ক্ষয়ক্ষতি করার পায়তারা চালাচ্ছে বলে তিনি কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপরদিকে হেকিম ফরাজী হারুন গংয়ের জমির মধ্যে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে তাদের জমি দাবী করে দখল করছে বলে প্রতিপক্ষরা কালীগঞ্জ থানায় আরেকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের স্থানীয় ইউপি মেম্বার হেকিম ফরাজীর সাথে হারুন গংয়ের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যে কোনো সময় এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
উভয় পক্ষ কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে সত্যতা স্বীকার করেছেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাকিব হাসান। তিনি বলেন, মেম্বার হেকিম ফরাজীর জমি কেনা বৈধ। তবে স্থানীয় ও পারিবারিক কিছু সমস্যা রয়েছে।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের জৈমুদ্দিন শেখের স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়ে ওয়ারিশ রেখে মৃত্যুবরণ করেন। জৈমুদ্দিন শেখের স্ত্রী সারবান, তিন মেয়ে মইফুল, রহিমা ও রাহিমা তাদের ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া আর.এস ৪২১৬ দাগে চালা ১ একর ১৭ শতাংশ, আর.এস ৪২১৭ দাগে বাড়ি ২৭ শতাংশ, আর.এস ৪২২৯ দাগে বাড়ি ১৫ শতাংশ, আর.এস ৪২৩০ টেকে ২৮ শতাংশ, আর.এস ৪২৩১ দাগে চালা ১২ শতাংশ ও আর.এস ৪২১৫ দাগে চালা ৩৬ শতাংশ ছয় দাগে সর্বমোট ২ একর ৩৫ শতাংশ জমি মোক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো. হেকিম ফরাজীর নিকট বিক্রি করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিস দুই একর ৩৫ শতাংশ হেকিম ফরাজীর নামে খারিস দেন। কিন্তু হারুন গং প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মেম্বারের ক্রয়কৃত জমি বেদখলের বিভিন্নভাবে পায়তারা চালাচ্ছেন।
মেম্বার তার ক্রয়কৃত জমি ছাড়াও হারুন গংদের জমির মধ্যে কাঁটা তারের বেড়া দিয়েছে। তাদের জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে যাচ্ছে বলে হারুন-অর-রশিদ বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে হেকিম ফরাজী বলেন, আমি স্থানীয় জৈমুদ্দিনের ওয়ারিশি জমি ক্রয় করেছি। কালীগঞ্জ ভূমি অফিস আমার ক্রয়কৃত জমির খারিস দিয়েছে। কিন্তু বড়গাঁও গ্রামের আফাজউদ্দিন, তার ছেলে হারুন, ফারুক ও আতিকুর প্রভাবশালীদের ছত্রছায়া ক্রয়কৃত জমি বেদখলের বিভিন্নভাবে পায়তারা চালাচ্ছে।
এদিকে অভিযুক্ত হারুন-অর-রশিদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার ফুফুরা যেই জমি হেকিম মেম্বারের নিকট বিক্রি করেছে। সেই সম্পত্তি আমাদের দেওয়ার কথা ছিল। এই সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ওই সম্পত্তি আমাদের দেওয়ার জন্য বলেছিল। কিন্তু ফুফুরা কোনো কথা রাখেনি।