শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > সারাদেশ > কালীগঞ্জে মঠবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরিকে গলা কেটে হত্যা

কালীগঞ্জে মঠবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরিকে গলা কেটে হত্যা

শেয়ার করুন

ইব্রাহিম খন্দকার ॥
গাজীপুর: কালীগঞ্জে মঠবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেরুনিকা রোজারিও নামে এক মহিলা দপ্তরিকে তার নিজ বাড়িতে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের উলুখোলা বিলাস বাড়ি শুটিং স্পট সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে বাড়িতে সোমবার সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে এমন লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। তবে বাড়ির ভেতরে ঘরের আলমারি, সুকেট ও অন্যান্য জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃত সমীর রোজারিও’র স্ত্রী নিহত ভেরুনিকা রোজারিও। তার তিন কন্যা সন্তানের মধ্যে দুইজনের বিয়ে হয়েছে। ছোট মেয়ে তুলসী রোজারিও ঢাকা ইডেন কলেজে অনার্সে পড়াশোনা করছে।
তবে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। এ সংক্রান্ত বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক মিজান বলেন, ডাকাতির মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। কে বা কারা তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে, তা তদন্ত করে বের করা হবে। ঢাকা থেকে ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরী বিভাগের সিআইডি দল এসে আলামত সংগ্রহ করেছে। তবে বাড়ি থেকে কোনো ধরনের অর্থ সম্পদ খোয়া যায়নি বলে তিনি দাবি করেন।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে নিহতের ভাতিজা জনি রোজারিও বলেন, তার চাচীর নিথর দেহ চৌকির মধ্যে পড়ে ছিল। ঘরের আলমারি ও সুকেজ খোলা অবস্থায় রয়েছে। হতে পারে এটা একটি পরিকল্পিত হত্যা।

পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিয়ে উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রুপন চন্দ্র সরকার তার সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। খবর পেয়ে গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দত্ত ও কালীগঞ্জ থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার বাবলু রোজারিও বলেন, নিহত ভেরুনিকার তেমন ধন-সম্পদ নেই। স্কুলে দপ্তরির কাজ করে ও মেয়ের জামাইদের সাহায্য সহযোগিতায় কোনো রকম জীবন যাপন করে আসছে সে। তবে ঘরের আলমারি ও সুকেজ খোলা পাওয়া যায় এবং ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকে।

স্কুল দপ্তরির হত্যার সংবাদ পেয়ে মঠবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তার বাড়ি গেলে পুলিশ প্রশাসন গেট বন্ধ করে দেয়। তাদের বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তাই শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হন। পরে তারা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আমাদের ঠাকুর হত্যার বিচার চাই। পরে কাঁদতে কাঁদতে শিক্ষার্থীরা চলে যান।

উৎসুক জনতা সকাল থেকে বাড়ির গেটের সামনে ভিড় করতে থাকে। বিভিন্নজনরা বাড়িতে ঢুকতে পারলেও সাংবাদিকদের ভেতরে ঢুকা ছিল বিধি নিষেধ। সকাল থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সাংবাদিকরা ভেতরে ঢুকার অপেক্ষায় থাকলেও তাদের স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ঢুকতে দেয়নি। ঢুকতে না দেয়ার রহস্যজনক কারনের কোনো সদুত্তর পুলিশ প্রশাসন দিতে পারেনি।