মো. ইব্রাহীম খন্দকার
স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর: কালীগঞ্জে হতদরিদ্র এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী (১২) কে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের কদমতলা ব্রিজ সংলগ্ন তাবাপাড়া গ্রামে গত মঙ্গলবার ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। ধর্ষিতা মৃত বাচ্চু ফকিরের কন্যা। ধর্ষক মাসুম মিয়া (২৮) বড়গাঁও গ্রামের বুরুজ মেম্বারের পুত্র।
আজ রোববার দুপুরে কালীগঞ্জ থানার এসআই মো. মছিউর রহমান তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়ে এলাকায় এসে ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ধর্ষক ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বাড়ির পাশে ক্ষেতে শাক তুলতে যায়। এই সময় বুরুজ মেম্বারের পুত্র মাসুম মিয়া ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে জাপড়ে ধরে ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে পাশে বাঁশঝাড়ে নিয়ে তাকে জোরপূবর্ক ধর্ষণ করে। পরে বাঁশঝাড়ের ভেতরে তার উচ্চস্বরে কান্নার শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে যেয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে ধর্ষিতার ওপর পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা পরিবার ও স্থানীয় লোকজনদের সে জানায়। ঘটনার পর ধর্ষক ও তার পরিবারের লোকজন হতদরিদ্র বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর মা ভিক্ষুক সালেহা বেগম, নানী তাসলিমা বেগম ও মামা আশরাফউদ্দিনকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। শনিবার বিকেলে এই সংক্রান্ত বিষয়ে ধর্ষিতাসহ তার মা-নানী ও মামা মোক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে চেয়ারম্যান মো. শরিফুল ইসলাম তোরণের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ও ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চেয়ারম্যান মো. শরিফুল ইসলাম তোরণ বলেন, ধর্ষিতার পরিবারের লোকজন ধর্ষণের বিষয়ে তার কাছে অভিযোগ করেছে।