কালীগঞ্জের চুপাইর জামিউল উলুম আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চুপাইর জামিউল উলুম আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।
জানা যায়, শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল-জালিয়াতি করে উক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষের স্ত্রীকে সহকারী শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান) পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কবে/কোথায় শিক্ষক নিয়োগের লিখিত কিংবা মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়েছে তা উক্ত মাদ্রাসার কোন শিক্ষক কিংবা কোন অভিভাবকগণ অবগত নয়। এমনকি কখন কোন পত্রিকায় এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়েছে তা এলাকাবাসী জানেন না। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তারও এ বিষয়ে মূখ খোলছেন না।
শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে মাদ্রাসায় ইতোপূবে কোন আলোচনা করা না হলেও হঠাৎ কানিছ ফাতেমা চলতি বছরের জুন মাসের ১৫ তারিখে মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ওইদিন প্রথম শিক্ষকদের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। তারপর ওই  মাসে হাজিরা খাতায় আর স্বাক্ষর নেই। জুলাই ও আগস্ট মাস পুরোটাই অনুপস্থিত। সেপ্টেম্বর মাস থেকে আবার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর শুরু করেন কানিছ ফাতেমা।
একটি সূত্র জানায়, অধ্যক্ষের স্ত্রী থাকায় মাদ্রাসার সভাপতি সাহাব উদ্দিন এবং নিয়োগ কমিটিকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া গোপন করে কানিছ ফাতেমাকে উক্ত পদে নিয়োগ দেয়া হয়। যদিও উক্ত পদে এ মাদ্রাসায় আরো দু’জন শিক্ষক রয়েছেন। এরা হলেনঃ সালাহ উদ্দিন (ইনডেক্স নং ৩৪৮২১১) ও মাহমুদা বেগম (ইনডেক্স নং ২০২৯৭৮২)। বিধি মোতাবেক এ পদে আর কোন শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেন না।
এ মাদ্রাসায় যদিও দু’টি শূন্যপদ (সহকারী শিক্ষক কৃষি ও সহকারী শিক্ষক শরীর চর্চা) রয়েছে; সেইপদে রহস্যজনক কারণে কোন শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে না। তবে একটি সূত্র জানায়, শূন্যপদে কানিছ ফাতেমার যোগ্যতা থাকলে তাঁকে নিয়োগ দেয়া হতো।
একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানায়, অধ্যক্ষ নিজে তাঁর স্ত্রীর জন্য শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি জাল করেছেন।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মাওলানা সাত্তার এ প্রতিবেদককে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাবে বলে সময় নিলেও শেষ পর্যন্ত দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এ বিষয়ে সভাপতি সাহাব উদ্দিন বলেন, মাদ্রাসার স্বার্থে এ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। আমার জানা মতে নিয়োগে কোন অনিয়ম নেই।
উল্লেখ্য, কানিছ ফাতেমা পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স  লিঃ কালীগঞ্জের দোলান বাজার সাংগঠনিক অফিসের ক্যাশিয়ার পদে ফুলটাইম চাকরি করছেন; বর্তমানেও উক্ত পদে বহাল রয়েছেন। পাশাপাশি অধ্যক্ষ নিজেও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিঃ এর কাপাসিয়া অফিসের সহকারী কন্ট্রোলার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।