কালিয়াকৈর ব্যুরো ॥
গাজীপুর: কালিয়াকৈরে মাকিশবাথান এলাকায় পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাাসন গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির বিপুল পরিমান সরকারী চাল জব্দ করেছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, রোববার গভীর রাতে ৮শ বস্তা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সরকারি চাল মাকিশবাথান এলাকাস্থ আসাদ কালার শর্টার মিলে আসে। উপজেলা প্রশাসন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় থানা পুলিশের এস আই আঃ হাকিম, মুক্তি মাহমুদ, সোহেল রানা, ইমরান হোসেন শর্টার মিলে রাখা ৪শ বস্তা চাল আটক করে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৪শ বস্তা চাল সহ আরো একটি ট্রাক পালিয়ে যায়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিন এর নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশতিয়াক আহমেদ ঘটনাস্থলে যান। ততক্ষনে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর ও ডিবি পুলিশের টহল টিম এসে উপস্থিত হন। এসময় শর্টার মিলের মালিক সুমন পালিয়ে গেলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিলের লেবারদের থানায় নেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, চাল গুলো কালিয়াকৈর খাদ্য গোদাম থেকে বিক্রি হয়েছে। উপজেলার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলাররা ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাল ১৫ টাকায় বিক্রি করে। পরে গোডাউন কর্তৃপক্ষের একটি চক্র অবৈধভাবে সেই চাল শর্টার মিলে বিক্রি করে দেয়। এসব চাল শর্টার করে দাদা রাইচ কোম্পানির নামে বাজারে উচ্চ মূল্যেবিক্রি হয়। তবে অভিযানে উপস্থিত থাকা কালিয়াকৈর গোডাউন কর্তৃপক্ষের কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, এসব আমাদের গোডাউনের চাল কিনা তা বুঝার উপায় নেই। এই কর্মসূচির সব বস্তাদেখতে একই রকম।
ওই শর্টার মিলে অবৈধভাবে প্লাস্টিকের পলিতে মোড়ানো আরো প্রায় ১৫শ বস্তা চাল দাদা রাইচ কোম্পানির নামের সীল পাওয়া যায়। যেসব চাল খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল থেকে শর্টার করা হয়েছে বলে দাবী করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম আব্দুস সবুর। গভির রাতে ওই মিলে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশতিয়াক আহমেদ জানান, চাল জব্দ করা হয়েছে। রাইচ শর্টার মিলটি সিলগলা করা হয়েছে। মালিকের নামে মামলা হয়েছে।
