শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > কালিয়াকৈরে সাংবাদিক মোয়াজ্জেম মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে চায়

কালিয়াকৈরে সাংবাদিক মোয়াজ্জেম মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে চায়

শেয়ার করুন

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি ॥
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দায়েরকৃত মিথ্যা অপহরণ মামলার দায় থেকে বাঁচতে চায় সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, প্রেমের কারণে ওরা ৩ দফায় ঘর ছেড়েছে, গ্রেফতার হয়েছে, হাজত খেটেছে ঘটনাটি প্রশাসনসহ সকলেই অবহিত। তারপরও আমাদেরকে কেন হয়রানী করা হচ্ছে ? আমি এই মামলার দায় থেকে মুক্তি চাই।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেনের ভাগ্নে সৈয়দপুর গ্রামের হাজী আমির উদ্দিনের পুত্র মোতালেব হোসেন টুটুলের সাথে পার্শ্ববর্তী শ্রীফলতলী গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের মেয়ে লামিয়া আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যয়ে প্রেমিক যুগল গত ৬ নভেম্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় লামিয়ার মা মিলি বেগম বাদী হয়ে টুটুলকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে কালিয়াকৈর থানায় অপহরণ মামলা নং ১৪ তারিখ ৮/১১/২০১৩ইং দায়ের করেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে প্রেমিক যুগলকে ফিরিয়ে এনে ১১ নভেম্বর বিকেলে স্থানীয় মাতব্বরদের উপস্থিতিতে উভয় পরিবারের অভিভাবকরা মিমাংসা বৈঠকে বসে। সেখানে সমঝোতা না হলে প্রেমিক যুগল পালিয়ে যায়। এতে পুলিশি চাপের মুখে ওইদিনই সন্ধ্যায় পীরেরটেকী এলাকা থেকে লামিয়াকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। পরদিন লামিয়াকে আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ আদালত লামিয়াকে তার মা মিলি বেগমের জিম্বায় দিয়ে দেন। বাড়িতে নিয়ে লামিয়াকে তার মা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করতে থাকে।
গত ১৩ ডিসেম্বর লামিয়া প্রেমের টানে টুটুলের সাথে পুনরায় ঘর ছেড়ে চলে যায়। পুলিশ আবার টুটুলের অভিভাবকদের উপর চাপ সৃষ্টি করলে তারা হতবাক হয়ে পরে। পরে বিভিন্ন সূত্রে সংবাদ পেয়ে কোনাবাড়ি থেকে লামিয়াকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। পরদিন আদালতে প্রেরণ করলে লামিয়া মায়ের জিম্বায় যেতে রাজি না হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে গাজীপুরের কোনাবাড়িস্থ কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়। ইতিমধ্যে ১০ মার্চ টুটুল কে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে লামিয়া ১৯ মার্চ মুক্তিপেয়ে মায়ের সাথে বাড়ি চলে আসে। অপর দিকে জামিনে মুক্তি পেয়ে ২০ মে টুটুল জেলহাজত থেকে বাড়ি চলে আসে। এর মাত্র ৩ দিন পর টুটুল-লামিয়া আবার ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২৫ মে লামিয়ার মা কালিয়াকৈর থানায় আবার একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ৩৩। এই মামলায় প্রতিহিংসাবশত টুটুলের মামা সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন, দুলাল হোসেন, টুটুলের মা এলেফা বেগম ও খালা নিলুফা বেগমকে আসামী করেন।
শুধু প্রেমের টানে একই ছেলের সাথে লামিয়া ৩ বার ঘর ছাড়ার বিষয়টি এলাকার সর্ব মহলে বিশেষ আলোচনার জন্মদিচ্ছে। দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তাদের গভীর প্রেম। একই ঘটনায়, একই থানায় একাধিক মামলা দায়ের তারপরও মা, মামা, খালাসহ টুটুলের পরিবারের লোকজনদের আসামী করে পুলিশী হয়রানীর ঘটনায় সচেতন মহল সংকিত হয়ে উঠেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালিয়াকৈর থানার ওসি তদন্ত মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, লামিয়ার মা মিলি বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে।

কালিয়াকৈরে সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি ॥ কালিয়াকৈর সাংবাদিক ক্লাবের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় সাংবাদিকরা মানববন্ধন করেছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কালিয়াকৈর সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি আব্দুল আলীম অভি, সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল ২৪এর স্টাফ রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম খান, দৈনিক আজকের জনতা’র উপজেলা প্রতিনিধি ইকবাল আহমেদ ও বিশিষ্ট কলামিষ্ট ডা. জয়নাল আবেদীন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসোনের ভাগ্নের সাথে পার্শ্ববর্তী এলাকার মৃত মজিবুর রহমানের মেয়ে লামিয়া আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠায় তারা ৩ দফায় ঘর ছাড়ে। এ নিয়ে কালিয়াকৈর থানায় ২টি মামলা হলেও সর্বশেষ ২৫ মে দায়েরকৃত মামলায় সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন কে জড়ানো হয়। এই মামলার দায় থেকে অবিলম্বে মোয়াজ্জেম হোসেনের নাম প্রত্যাহরের দাবী জানান।