শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > সারাদেশ > কালিয়াকৈরে বনের জমি বেদখলের হিরিক

কালিয়াকৈরে বনের জমি বেদখলের হিরিক

শেয়ার করুন

আমিনুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর: কালিয়াকৈরে বন বিভাগের সরকারী জমি জবর দখল করে অবৈধভাবে ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের হিরিক পড়েছে। অপর দিকে টেন্ডার ছাড়াই অবৈধভাবে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে বিক্রি করায় লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সরকারী বনের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স’মিলসহ পাকা বা আধা পাকা এসব ঘর বাড়ি নির্মাণকারীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে কাঁচিঘাটা বিট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

বনের জায়গায় ঘর নির্মাণ

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, গত এক মাসে উপজেলার কাঁচিঘাটা রেঞ্জের সদর বিটের মুথাঝুরি মৌজায় পাবুরিয়া চালা এলাকায় মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র মোঃ আব্দুল লতিফ শিকদার টিনের ঘর নির্মাণ, মোঃ আলমগীর মেম্বার পিতা মৃত আলাল টিনসেড বিল্ডিং নির্মাণ, ফুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত কিতাব আলী মুন্সীর পুত্র মোঃ মহি উদ্দিন টিনের ঘর নির্মাণ, করইচালা গ্রামের নজর আলীর পুত্র মোঃ ইসমাইল হোসেন টিনের ঘর নির্মাণ, আব্দুল মজিদের পুত্র মোঃ কাশেম টিনের ঘর নির্মাণ, আতাব উদ্দিনের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম টিনের ঘর নির্মাণ, মৃত লতিফ মুন্সীর পুত্র হান্নান মুন্সী টিনের ঘর নির্মাণ, তালতলা গ্রামের জহির ডাক্তারের পুত্র শাহজাহান টিনের ঘর নির্মাণ, মোথাপাড়া গ্রামের শুকুর আলীর পুত্র আলতু মিয়া টিনের ঘর র্মিাণ, ফুলবাড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের বেলাল মিয়া টিনের ঘর নির্মাণ, ফুলবাড়িয়া গ্রামের শামসু মিয়ার পুত্র বাতেন ডাক্তার টিনসেড বিল্ডিং নির্মাণ, মনতলা গ্রামের মৃত আহসানের পুত্র বিল্ডিং নির্মাণ, হিরা চৌকিদারের পুত্র বিল্লাল টিনের ঘর নির্মাণ, মৃত শুকৃম উদ্দিনের পুত্র তোতা মিয়া টিনের ঘর নির্মাণ, নাগের চালা গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র সমেজ আলী টিনের ঘর নির্মাণ, কাঁচিঘাটা উত্তরপাড়া গ্রামের আলী আজগরের পুত্র তাজেল টিনের ঘর নির্মাণ, ফুলবাড়িয়া উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত আহাদ আলীর পুত্র আব্দুল হাকিম শালদহ পাড়া এলাকায় সমিল নির্মাণ, তালতলা গ্রামের সোবহান মুন্সীর মেয়ে জহুরা বেগম টিনের ঘর নির্মাণ ও পাবুরিয়া চালা গ্রামের সিদ্দিক মিয়া একই গ্রামের রহিজ উদ্দিনের প্লট থেকে সামাজিক বনায়নের দেড় লক্ষাধিক টাকার আকাশ মনি গাছ কর্তন করে বিক্রি করা।
সরকারী বনের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব স্থাপনা নির্মাণকারীদের কাছ থেকে কাচিঁঘাটা বিট কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আওয়ালের নির্দেশে ফরেস্ট গার্ড রফিকুল ইসলাম ও ফরেস্ট গার্ড আলিম খান লাখ লাখ টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এভাবে বনের জমি জবর দখল করে গজারীগাছসহ সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে অবৈধভাবে ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করায় উজার হয়ে যাচ্ছে বনাঞ্চল। অপর দিকে টেন্ডার ছাড়াই অবৈধভাবে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে বিক্রি করায় লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
এ ব্যাপারে আলাপকালে কাচিঁঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মহসিন উজ্জামান বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে সরকারী বন রক্ষা ও জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।