স্টাফ রিপোর্টার ॥ গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট কারচুপি হলে ‘দাঁতভাঙা’ জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। সরকারের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির নীলনকশার অভিযোগ করে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, এই নির্বাচনে ভোট কারচুপি হলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। সেখান থেকেই সরকার পতন আন্দোলনের সূচনা হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে জয়নুল আবদিন ফারুক এমপিকে হত্যার প্রচেষ্টার দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত একটি যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুরে আবারও সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, ক্ষমতাসীন দল ঢাকা থেকে সন্ত্রাসীদের গাজীপুরে নিয়ে জড়ো করেছে। বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ছড়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে একাট্টা হয়ে কাজ করছে। সেজন্যই আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সেনা বাহিনী মোতায়েনের আবারও দাবি জানাচ্ছি। বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বলবো, এখনও সময় আছে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা নিন। নইলে যে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি হবে, এর দায়ভার নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তাবে। আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেছেন, হঠাৎ করে সেনাবাহিনীর ওপর এত মমতা বেড়ে গেল কেন। এখানেই সন্দেহ। কারণ নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতেই সেনাবাহিনী মোতায়েন চায় না আওয়ামী লীগ। গাজীপুরে ১৪ দলের প্রার্থীকে জেতাতে সরকার মারিয়া হয়ে উঠেছে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, জনগণ থেকে সরকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সিটি নির্বাচনের ফলাফলে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। বুধবার কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা ভোট লুট করেছে। এ থেকে প্রমাণ হয়, তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু দেশে কোন গণতান্ত্রিক সরকার নেই। এই সরকার একটি ফ্যাসিবাদী সরকারে পরিণত হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সহ-তথ্যবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নাগরিক সংসদের সভানেত্রী খালেদা ইয়াসমীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।