বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > কারচুপির আশঙ্কা বয়কটের হুমকি

কারচুপির আশঙ্কা বয়কটের হুমকি

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ দেশের ৯৭টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামীকাল বুধবার। এ নির্বাচন নিয়ে বিএনপিতে শেষ মুহূর্তে গভীর উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। দশম জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও সরকার নিজেদের মধ্যে ‘ভাগ-বাটোয়ারা’ করার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সরকারি প্রশাসনের কারণে সাধারণ ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। স্থানীয় নেতারাও নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে সংশয়ে আছেন। যশোরে সংবাদ সম্মেলনে তরিকুল ইসলাম খুলনা বিভাগে উপজেলা নির্বাচন বয়কটের হুমকি দিয়েছেন। খুলনায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, নির্বাচনে মাঠ কর্মকর্তারা সরকারের বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। তারা এখনও নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করছেন না। ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনে সমূহ কারচুপির আশঙ্কায় আছেন। তারা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং পুলিশের হয়রানিতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বরিশালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতির আশঙ্কা করছে বিরোধী দল। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকির অভিযোগ করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এদিকে, বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা সঙ্কটে পড়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্রোহীরা শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে আছেন। দল থেকে বহিষ্কার করেও তাদের দমানো যাচ্ছে না। এতে ফলাফল অনুকূলে আসবে কিনা, বিএনপি নিজেরাই সংশয়ে রয়েছে। দলীয় একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে না পারা এবং মাঠ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বিএনপির কেউ কেউ শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বয়কটের চিন্তাভাবনা করছেন। তবে এজন্য প্রথম ধাপের নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পরই সিদ্ধান্ত নেয়ার পক্ষে মত বেশি।

যশোর অফিস জানায়, খুলনা বিভাগে উপজেলা নির্বাচন বয়কটের হুমকি দিয়েছে বিএনপি। সোমবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম এ হুমকি দেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনে বিএনপির বিজয় ছিনিয়ে নিতে এরই মধ্যে দল সমর্থিত প্রার্থী, সম্ভাব্য প্রার্থী এবং সক্রিয় নেতাকর্মীদের নামে একের পর এক মামলা দেয়া হচ্ছে।

অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে দলের সক্রিয় নেতাদের ফাঁসিয়ে দেয়া ছাড়াও তাদের ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের মতো এ নির্বাচনও বয়কট করতে বাধ্য হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে যেমন আমাদের আহক্ষানে সাড়া দিয়ে জনগণ নির্বাচন বর্জন করেছে; এবারও আহক্ষান করলে জনগণ ঠিক একইভাবে সাড়া দেবে। তিনি নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের প্রতি আহক্ষান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে যারা ভোট দিতে যাননি, তারা উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ বিএনপি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর সরকারের মাথার উত্তাপ বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার মহোৎসব চলছে। দল মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মন্ত্রী-এমপিরা সরকারি পতাকাবাহী গাড়িতে এলাকায় গিয়ে প্রকাশ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। অথচ নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তিনি বলেন, মন্ত্রী-এমপিরা বলছেন তাদের প্রার্থী বিজয়ী না হলে এলাকার উন্নয়ন হবে না। ভোটের দিন বিএনপি প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্টরা যাতে ভোট কেন্দ্রে না থাকে সেজন্য হুমকিও দেয়া হচ্ছে।

বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের অধীনে নিতে সরকার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে হত্যা ও গুম করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর চারঘাটের বর্তমান চেয়ারম্যান, যিনি আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও নাটোর, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরসহ নানা জায়গায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। নির্বাচনের প্রচার চালানোর সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘিরে রাখা হচ্ছে।

ইসিতে শিরীন আক্তার ও নিজাম হাজারির বিরুদ্ধে অভিযোগ : নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বিএনপি সমর্থিত ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তালেব সরকার দলীয় দুই এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। সোমবার দুপুরে ইসিতে ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আক্তার ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, সরকার দলীয় ?দুই সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কামাল উদ্দিন মজুমদারের পক্ষে কাজ করছেন এবং স্থানীয় প্রশাসন ব্যবহার করে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীকে কোনো ধরনের প্রচারণা চালাতে দিচ্ছে না। একইভাবে ফেনী জেলা প্রশাসক আজিজ আহম্মেদ চৌধুরী এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগ প্রসঙ্গে আবু তালেব বলেন, সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা সরকার দলীয় এমপির সহায়তায় আমার ওপর বারবার হামলা করছে, এমনকি আমার হাত ভেঙে দিয়ে জখম করেছে। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তিনি বলেন, আমি কোনো প্রচারণাই করতে পারিনি। কারণ প্রশাসন আমাকে যথাযথভাবে সাহায্য করছে না।

বরিশাল অফিস জানায়, গৌরনদী ও বাকেরগঞ্জ উপজেলায় শেষ মুহূর্তে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে দুটি নির্বাচনী এলাকার ৯৫টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নিয়ে উদ্বিগ্ন ভোটাররা। তাছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে এরই মধ্যে দফায় দফায় সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতির আশঙ্কা করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বিএনপি জানিয়েছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব কেন্দ্র ক্ষমতাসীনরা অনেকটা জোর করেই দখলে নেবে। অবশ্য বিএনপি-আওয়ামী লীগ উভয় দলের পক্ষ থেকে গ্রামগঞ্জে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। জেলা রিটার্নিং অফিসার দুলাল তালুকদার আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে সেনা-বিজিবসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত সোমবার থেকে মাঠে নেমেছে।

আগামীকাল গৌরনদী ও বাকেরগঞ্জে উপজেলায় ভোট। শেষ মুহূর্তে নির্বাচন নিয়ে দুটি উপজেলায়ই টান টান উত্তেজনা। গৌরনদীতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবুল হোসেন সোমবার সকালে বরিশালে এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি হওয়ার আশঙ্কা করেছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবর রহমান সরোয়ারের বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তাদের সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দেয়ার অভিযোগ করা হয়। গৌরনদীর একাধিক তথ্যমতে, ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বার্থী ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থী আবুল হোসেনের চাচাতো ভাই রাসেল প্যাদাকে মারধর করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। সেখানকার বাঘমারায় একই রাতে সালাম হাওলাদার নামে এক বিএনপি নেতাকে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ধাওয়া করে। উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহ আলমের লোকজন তাদের সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে। সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এ উপজেলার এমপি হওয়ায় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, তাদের কাছে তথ্য রয়েছে, কেন্দ্র দখল করে ভোট নেবে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জালিয়াতির পাশাপাশি গৌরনদীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় প্রার্থীর লোকজন দরিদ্র ভোটারদের মাঝে টাকা উড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহ আলম, বিএনপি প্রার্থী আবুল হোসেন এবং দলের বিদ্রোহী প্রার্থী লোকমান হোসেনের লোকজন সাধারণ মানুষকে টাকা দিচ্ছে বলে ভোটারদের মাধ্যমে জানা গেছে। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহ আলম এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি এখানকার চেয়ারম্যান ছিলেন। তাই এবারও জয়লাভ করবেন। তিনি হুমকি-ধমকি আর ভোট জালিয়াতি প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগ নয় বিএনপি এসব করে থাকে। এদিকে নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে এরই মধ্যে সরকারি গৌরনদী কলেজে সেনাবাহিনী এবং গৌরনদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজিবি অবস্থান করছে।

বাকেরগঞ্জে নির্বাচনী পরিবেশ ক্রমেই পাল্টে যাচ্ছে। এখানকার আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয় দলই বিদ্রোহী নিয়ে টেনশনে রয়েছে। এরপরও দলের সমর্থন পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামসুল আলম চুন্নু এবং বিএনপি প্রার্থী খলিলুর রহমান সিকদার শেষ মুহূর্তে গণসংযোগ চালিয়েছেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, এ উপজেলার ৬৮টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নিয়ে যত টেনশন উভয় দলের। অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রে জালিয়াতি সৃষ্টি করবে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী খলিলুর রহমান সিকদারের ভাই এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য খবির সিকদার আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, ছাত্রলীগ-যুবলীগ বিভিন্ন এলাকায় তাদের সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে। তারা টাকা ছড়িয়ে ভোট কিনছে। অথচ প্রশাসন নীরব। এ অবস্থায় নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির আশঙ্কা করেন তিনি।

এদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় বরিশাল প্রেসক্লাবে উপজেলা নির্বাচনের নানা অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবর রহমান সরোয়ারের নেতৃত্বে ডাকা জরুরি ওই সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দলীয় সমর্থকদের হয়রানি, গ্রেফতার, হুমকি এবং ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ধরা হয়।

খুলনা অফিস জানায়, খুলনা বিএনপির নেতারা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত মাঠ কর্মকর্তারা সরকারের বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন। তারা এখনও নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করছেন না। এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের ভয়ভীতি এবং পুলিশের হয়রানিতে খুলনার কয়রা ও দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাচনে ১৯ দলীয় জোট প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সোমবার দুপুরে খুলনা নগর বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতারা আরও অভিযোগ করেন, প্রশাসন একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় আনার এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্র দখল করে প্রকাশ্যে ওই দলের প্রার্থীদের পক্ষে ব্যালট পেপারে সিল মারা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। যেসব স্থানে ১৯ দলীয় জোট প্রার্থীরা ভালো অবস্থানে রয়েছে, সেসব স্থানের ভোটার ও সংখ্যালঘুদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এসব দিক বিবেচনায় দিঘলিয়া উপজেলায় কমপক্ষে ২৩টি কেন্দ্র রয়েছে চরম ঝুঁকির মধ্যে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ও অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। বিষয়টি জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন, র‌্যাব, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে নগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, কেসিসি মেয়র ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান মনি এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম শফিকুল আলম মনা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, চলমান সরকার পতন আন্দোলনে খুলনায় বহু নেতাকর্মী হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। অনেকে কারাগারে রয়েছেন, অনেকে হয়রানির ভয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। যে কারণে তারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না। পুলিশ জোট নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। দিঘলিয়া থানার এসআই তাপসকে ছাত্রলীগের সাবেক সক্রিয় কর্মী উল্লেখ করে তিনি ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ১৯ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে দিঘলিয়া উপজেলার ২৩টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত দেয়া হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে নেতারা ভোটের মাধ্যমে জোট প্রার্থীদের বিজয়ী করে সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশের আহক্ষান জানান। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু, বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম দাদু, অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, অধ্যাপক আমীর আলি, ফখরুল আলম, আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, সিরাজুল হক নান্নু, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, শেখ সাদী, সামসুজ্জামান চঞ্চল, কামরান হাসান প্রমুখ। সিলেট অফিস জানায়, সিলেটে উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা সঙ্কটে পড়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় সিলেটে বিএনপির তিন নেতাকে এরই মধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেনথ গোলাপগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমরান আহমদ চৌধুরী, একই উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী নছিরুল হক শাহীন এবং কোম্পানীগঞ্জ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাব উদ্দিন। দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সোমবার তাদের বহিষ্কার করা হয়। বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম