শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > কামারুজ্জামানের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের সম্ভাবনা

কামারুজ্জামানের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের সম্ভাবনা

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের অনুলিপি শিগগিরই প্রকাশ হতে পারে। রায় প্রদানকারী সব বিচারপতিই তাদের রায়ের অংশ লেখা প্রায় শেষ করেছেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা তার লেখা রায়ের খসড়া কপি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের কাছে জমা দিয়েছেন। এখন ক্রম জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে খসড়া কপিটি বেঞ্চের অপর দুজন বিচারপতি দেখবেন। এরপর শিগগিরই চূড়ান্ত রায়ের অনুলিপিতে স্বাক্ষর হবে বলেও সূত্র জানায়।
গত বছরের ৩ নভেম্বর আপিল বিভাগ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। আপিল বিভাগের তখনকার জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ও বর্তমানে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে সেদিন সংক্ষিপ্ত রায় দেন। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
মাত্র দেড় মিনিটে দেয়া আপিল বিভাগের ওই সংক্ষিপ্ত রায়ে বলা হয়, আসামি কামারুজ্জামানের আপিল আংশিক মঞ্জুর করা হল। এক নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হল। দুই ও সাত নম্বর অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনালের দেয়া সাজা বহাল রাখা হল। তিন নম্বর অভিযোগে দণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে সব বিচারপতিই একমত। তবে আসামিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল। চার নম্বর অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে তার সাজা বহাল রাখা হল এবং এ অভিযোগে তার সাজা মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়া হল।
আপিল বিভাগের ওই সংক্ষিপ্ত রায় পর্যালোচনায় দেখা যায়, কামারুজ্জামানকে সাজা দেয়ার ক্ষেত্রে সব বিচারপতি একমত হতে পারেননি। তবে কোন বিচারপতি একমত হননি তা রায় ঘোষণার সময় জানানো হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা এ জামায়াত নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ব্যাপারে বেঞ্চের অন্য বিচারপতিদের সঙ্গে একমত হননি। এখন রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের অপেক্ষা।
সূত্র মতে, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিক থেকে এ রায় লেখা শুরু হয়। মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে রায় প্রদানকারী বিচারপতিরা তাদের রায়ের অংশ ইতিমধ্যে লিখে শেষ করেছেন। বৃহস্পতিবার বিভক্ত রায় প্রদানকারী বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা তার রায় লেখা প্রাথমিকভাবে শেষ করেন। রায়ের খসড়া কপিটি অন্য বিচারপতিদের দেখানোর জন্য জমা দেয়া হয়েছে। শিগগিরই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর রায়টি পুনর্বিবেচনার (রিভিউয়ের) জন্য কামারুজ্জামান ১৫ দিনের সময় পাবেন। এ সময়ের মধ্যে দায়েরকৃত রিভিউয়ের আবেদনটির নিষ্পত্তি হওয়ার পর তার মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে মৃত্যু পরোয়ানা পাঠাবেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল।