শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > কাপাসিয়া থেকে অপহরণের ৯ দিন পর তিন কিশোর চট্রগ্রামে উদ্ধার, গ্রেফতার-৩

কাপাসিয়া থেকে অপহরণের ৯ দিন পর তিন কিশোর চট্রগ্রামে উদ্ধার, গ্রেফতার-৩

শেয়ার করুন

আকরাম হোসেন রিপন॥

স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর : কাপাসিয়া থেকে অপহরণের ৯ দিন পর তিন কিশোরকে উদ্ধার করেছে কাপাসিয়া থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে অপহৃত তিন কিশোরদের চট্রগ্রামের কোতয়ালী থানার কাঠগড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতরা হলো উপজেলার শ্যামপুর এলাকার মোকলেছুর রহমানের পুত্র সানিদ (১৪), ফরিদ মিয়ার পুত্র সোহাগ (১৮) ও সালদৈ এলাকার দুলাল মোড়লের পুত্র ইকবাল মোড়ল (১৭)।


জানা যায়, গত ১৫ মে সকালে সানিদ, সোহাগ ও ইকবাল তিন বন্ধু সালদৈ মোড়ে যাত্রী ছাউনিতে বসে আলাপ করছিল, স্কুল বন্ধ থাকায় রমজান মাসে কাজ করে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায়। পাশে বসে থাকা অপহরণকারি মস্তফা কামাল বাপন (৩৪) কাপাসিয়াতে তার নিজের একটি জুতার কারখানা আছে তাতে কাজ দেবে বলে কিশোরদের জানায়। কাজের উদ্দেশ্যে তিন কিশোর অপহরণকারি মস্তফা কামাল বাপনের সাথে কাপাসিয়া আসার উদ্দেশ্যে সমাট্র পরিবহনে উঠলে তাদেরকে কাপাসিয়া না এনে অপহরণকারি কিশোরদের অচেতন করে অপহরণকারিদের আস্তানায় নিয়ে যায়। সেখানে অপহরণকারি সোয়েনা বেগম (৪০) ও রিতা (৩০) দের সহযোগিতায় কিশোদের হাত মুখ বেধেঁ ফেলে রাখে। পরে অপহরণকারি মস্তফা কামাল বাপন অপহৃত ইকবালের মোবাইলের মাধ্যমে তার বাবাকে ফোন করে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একপর্যায়ে স্বজনরা বিকাশের মাধ্যমে একুশ হাজার টাকা দিয়ে তাদের উদ্ধারের চেষ্ঠা করে। উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে গত ১৯ মে কাপাসিয়া থানায় কিশোরদের পক্ষ থেকে সোহাগের পিতা ফরিদ মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞতনামা আসামী দিয়ে একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত ও ভিকটিম উদ্ধারে দায়িত্ব দেয়া হয় কাপাসিয়া থানার এস আই মনির হোসেনকে। শুরু হয় পুলিশের তৎপরতা। সহযোগিতা নেয়া হয় তথ্য প্রযোক্তিতে পারদর্শী কাপাসিয়া থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন মনিরুজ্জামান খাঁনের। অবশেষে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চট্রগ্রামের কোতয়ালী থানার কাঠগড় এলাকা থেকে আসামীদের গ্রেফতার ও অপহৃতদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক জানায়, অপহরণের ঘটনায় কিশোদের স্বজনরা থানায় অভিযোগ দিলে মামলা রুজু করে বেশ কয়েকটি স্থানে ভিকটিম উদ্ধারের লক্ষ্যে অভিযান চালানো হয়। অবশেষে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা ভিকটিম উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছি।