শামসুল হুদা লিটন, কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকেঃ
কাপাসিয়ায় প্রবাস ফেরত স্বামী ও স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার টোক ইউনিয়নের ঘোষেরকান্দী এলাকার দুলাল মিয়ার বাড়ির টিন শীট ঘরের দুই রুম থেকে স্বামী স্ত্রী’র পৃথক দু’টি লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বামী ফ্যানের সাথে এবং স্ত্রী ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নিতহরা একে অপরে স্বামী-স্ত্রী। পারিবারিক কলহের জেরে তারা দুজনেই ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে পরিবারের ধারণা। প্রায় এক যুগ পূর্বে ঘোষেরকান্দী এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (৩৫) এর সাথে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারোসিন্দুর ইউনিয়নের তালদশি গ্রামের নূরুল ইসলামের মেয়ে নুরুন নাহার (৩০) পারিবারিক ভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। বৈবাহিক জীবনে তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। নিহত রুবেলের মা বলেন, আমার একটাই পুত (ছেলে)। ১২/১৩ বছর অইছে বিয়া করাইছি তালদশি গ্রামে। আমার দুইড্ডা নাতি আছে। আমার পুত (ছেলে) আড়াই তিন বছর ধইরা বিদেশ থাকতো পনেরো ষোল দিন অইছে দেশে আইছে। আউনের পরে তারা বেডা-বেডি নানানতা লইয়া ঝগড়া কইরা বাপের বাড়ি গেছিনগা বৌ কয়েকদিন পরে শ্বশুরে গিয়া আনছে। এরপর থেইকা ভালোই আছিন তারা। কাল্লাহ (গত কাল) কি অইছে কইতারি না। রাতে আবার আমরা এক সাথে সবাই খাইছি। আনুমানিক রাইত এগারো বারটার দিকে বাইরে বাইরহইছি, ঘরে বাতি জ্বলে দেইক্কা কইছি রুবেল ঘুমাইছত না। ছেলে কয় মা মোবাইলে নাটক দেহি এখন ঘুমাইয়াম। সকালে দেহি দুইজনের লাশ।
প্রাথমিক সুরতহাল নির্ণয়কারী ও স্থানীয় একাধিকজনে বলেন, নুরুন নাহার ফজরের আযানের সময় তার সন্তান কে মসজিদে দিয়ে আসছে। এতো সকালে কোনদিন দিয়ে আসেনাই। মসজিদ থেকে এসে নুরুন নাহার ফাঁস নিছে, লাশ দেখে তাই মনে হচ্ছে। আর রুবেলের লাশ দেখে মনে হচ্ছে মধ্যরাতে ফাঁস নিছে।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান,, স্বামী-স্ত্রী কলহের জেরে একটি পার্টিশন ঘরের দুই পাশে অর্থাৎ পার্টিশনের এক পাশে স্বামী আরেক পাশে স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। কোন বাদী না থাকায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।