শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > সারাদেশ > কাপাসিয়ায় গৃহবধূ’র রহস্যজনক মৃত্যু: গলাটিপে হত্যার অভিযোগ

কাপাসিয়ায় গৃহবধূ’র রহস্যজনক মৃত্যু: গলাটিপে হত্যার অভিযোগ

শেয়ার করুন

কাপাসিয়া ব্যুরো ॥
গাজীপুর: অভাব অনটন ও পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূ রোজিনা আক্তারকে (৪০) তার স্বামী তাজউদ্দীন গলাটিপে হত্যা করেছে না কিটনাশক পানে মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে বিপরীতমূখি অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে কাপাসিয়া উপজেলার সালদৈ গ্রামে। গৃহবধূ নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ের আতাউর রহমানের কন্যা। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
গৃহবধূ রোজিনার ছোট ভাই জুলহাস উদ্দিন জানান, গত প্রায় ২২ বছর আগে কাপাসিয়া উপজেলার সালদৈ গ্রামের সামসুদ্দিনের পুত্র তাজউদ্দীনের সাথে পারিবারিক ভাবে তার বড়বোন রোজিনাকে বিয়ে দেয়া হয়। তার পর থেকেই অভাব অনটন ও নানা অজুহাতে রোজিনাকে তার স্বামী প্রায়ই মারধর করতো। এ ব্যাপারে বহুবার দেনদরবারও হয়েছে। অমানসিক নির্যাতনের মাঝে দীর্ঘদিনের সংসারে তাদের ২ পুত্র ও ২ কন্যা রয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের এক কন্যাকে বিয়ে দেয়া হয়েছে। তাজউদ্দীন কৃষি কাজ ও বাড়ির পাশের জলাশয় থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে। ফলে তাদের অভাবের সংসারে যথেষ্ট সহযোগিতাও করা হচ্ছিল। স্বামীর সাথে ঝগড়া করে গত বৃহস্পতিবার রোজিনা তার বাবার বাড়িতে চলে যান। পরে তাকে বুঝিয়ে গত সোমবার রাতে স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। তার বোনকে গলাটিপে হত্যা এবং লাশের গলায় নীলাফুলা জখমের দাগ রয়েছে বলে গৃহবধূ’র ভাই জুলহাসের দাবী।
তাজউদ্দীনের পরিবারের লোকজন জানান, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে রোজিনা ঘরে থাকা কিটনাশক ঔষধ মাজরা পোঁকার টেবলেট খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য উত্তরার আল-সেবা হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশীরা জানান, গত মঙ্গলবার দিনের বেলা রোজিনা ও তার স্বামীর মাঝে ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে। বুধবার সকালে তার লাশ ঘরের বাইরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ছোট ভাই এসে থানায় জানালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
থানার এস আই কায়সার জানান, গৃহবধূ’র লাশের শরীরের কোথাও কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং মৃত্যুর কোন কারণ এখনো জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কিটনাশক পানে তার মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়না তদন্ত রির্পোট পেলে মৃত্যুর সঠিক তথ্য জানা যাবে। থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।