কাপাসিয়া থেকে মোহাম্মদ মনজুরুল হক গাজী ॥
গাজীপুর: কাপাসিয়া উপজেলায় এবার ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৭ দশমিক ২১ শতাংশ এবং মাদরাসার দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ৫১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। স্কুল ও মাদরাসা মিলিয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছে সর্বমোট ১১৭ জন পরীক্ষার্থী।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানায়, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৬টি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে উপজেলার ৬৯টি স্কুল থেকে ৪৫৩২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে এবং এর মধ্যে পাস করে ৩৪৯৯ জন পরীক্ষার্থী। পাশের হার ৭৭.২১ শতাংশ।
অন্যদিকে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন ৩টি দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে উপজেলার ৬৫টি মাদরাসা থেকে ১৪১৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে এবং এর মধ্যে পাস করে ৭৩১ জন পরীক্ষার্থী। পাসের হার ৫১.৫৯ শতাংশ। তবে বেলাশী মদিনাতুল উলুম বালিকা আলিম মাদরাসা এবং দক্ষিণগাঁও বালিকা দাখিল মাদরাসা থেকে একজন পরীক্ষার্থীও পাস করেনি।
১১৭ জন জিপিএ ৫ অর্জনকারীর মধ্যে ১১৫ জনই স্কুলের পরীক্ষার্থী। বাকী দু’জন মাদরাসা থেকে জিপিএ ৫ অর্জনকারী। এর একজন বেলাশী ফাযিল মাদরাসার মো. আবু তাহের, অন্যজন টোকনগর দারুল হাদিস আলিম মাদরাসার মো. আরিফুল ইসলাম। স্কুলের ক্ষেত্রে জিপিএ ৫ ফলাফল অর্জনে এগিয়ে রয়েছে বর্ণমালা স্কুল এন্ড কলেজ ও কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা। বর্ণমালা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে কড়িহাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের অধীনে ৭৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিল এবং এর মধ্যে ৩৯ জনই জিপিএ ৫ পেয়েছে। পাসের হার শতভাগ। কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আক্তার হোসেন বাবুল এই প্রতিবেদককে জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০ জন জিপিএ ৫ পেয়ে উপজেলায় জিপিএ ৫ ফলাফলের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি সমমান পরীক্ষার ফলাফল জানতে চাইলে ৬ মার্চ বিকেলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানায়, তাদের হাতে ফলাফল এখনো পৌছায়নি। কেন্দ্র সচিব ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে বলেন। রাতে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কেন্দ্র সচিবদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষার ফলাফলের পূর্ণাঙ্গ ও সঠিক তথ্য দিতে পারেনি।
উল্লেখ্য, এবার উপজেলার ১০টি কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩টি এসএসসি ভোকেশনাল ও ১টি দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষা কেন্দ্রে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ৩৫৫ জন।