শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > আন্তর্জাতিক > কানাডায় আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে ৩ গুণ

কানাডায় আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে ৩ গুণ

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের ঝুঁকিতে আছে হাইতির ৫৮ হাজার নাগরিক।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে ১৭ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলো হাইতি বংশদুভত এল লোন। অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ট্রাম্প প্রশাসনের সাঁড়াশি অভিযানে বাধ্য হয়েই তিনি প্রতিবেশী দেশ কানাডায় আশ্রয় নিচ্ছেন। তিনি বলেন, তরুন বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে আসি। বিয়ে, সংসার, সন্তান সন্ততি সব এখানেই। আমার সন্তানরাও এই দেশের নাগরিক। তবুও দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছি। হয়তো কানাডা আমাদের নিরাশ করবে না।

হাইতিতে ২০১০ সালের ভুমিকম্পের পর ওবামা প্রশাসনের সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রে অস্থায়ী বসবাসের অনুমতি পায় দেশটির ৫৮ হাজার বসিন্দা। তাদের একজন বলেন, ধ্বংস্তুপ থেকে আশ্রয়ের জন্য এখানে এসেছিলাম। ট্রাম্প এখন আবার নরকে পাঠাতে চাইছেন। দয়া করে আমাদের দেশে পাঠাবেন না।

এদিকে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, কানাডা উদার ও সবার জন্য উন্মুক্ত এক দেশ। সব আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য আমাদের দুয়ার খোলা। তবে সীমান্তে চেকিং এর প্রক্রিয়া মেনেই এখানে আসতে হবে।

কানাডার সরকার বলছে ১৫ জুলাই থেকে দক্ষিণ সীমান্ত পথে দেশটিতে প্রবেশ করেছে ১ হাজার দুইশ আশ্রয়প্রার্থী। অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে সেই সংখ্যা তিনগুন বেশি। গেলো আড়াই মাসে কিউবেকে ঠাঁই হয়েছে সাড়ে তিন হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীর। কানাডার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ হুসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো উন্মুক্ত সীমান্ত নীতি গ্রহন করেছেন। তাই কাউকেই এখানে প্রবেশে বাঁধা দেওয়া হবে না। আশ্রয়প্রার্থীদের সব ধরনের সেবা দেওয়ার উদ্দ্যোগ নিয়েছে সরকার।

অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য কিউবেকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র তৈরিতে কাজ করছেন দেশটির সেনা সদস্যরা। কিউবেকের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে খোলা হয়েছে শরনার্থী আশ্রয়কেন্দ্র।
সূত্র: চ্যানেল ২৪।