শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > আন্তর্জাতিক > কাতার সংকটের ‘মূলহোতা’ ব্যর্থ ট্রাম্পের জামাই কুশনার

কাতার সংকটের ‘মূলহোতা’ ব্যর্থ ট্রাম্পের জামাই কুশনার

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥

শর্ষের ভেতরেও ভূত থাকতে পারে। ফাঁস হওয়া তথ্যে যেমন জানা গেছে নীরিহ দর্শন, সুদর্শন ট্রাম্পের মেয়ের জামাই জেরার্ড কুশনারই কাতার সংকটের আসল হোতা। একটি ফাঁস হওয়া তদন্তে জানা গেছে, কাতার সংকটের আগে আগে কাতারের কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছিলেন কুশনার। কিন্ত ওই অর্থ পেতে তিনি ব্যর্থ হন। যার জন্য চড়া মাশুল গুনতে হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম ধনি রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া দেশটিকে।

বৃটিশ গণমাধ্যম ইনডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কুশনার চেষ্টা করেছিলেন কাতারের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তার প্রত্যাশিত ঋণটিকে আদায় করতে। কিন্তু সরল চেহারার কুশনারকে ততটা বিশ্বাস করেনি কাতারের জাঁদরেল ব্যবসায়ীরা। তারা কুশনারের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেন। আর এর প্রতিশোধ নিতেই শ্বশুর ট্রাম্পকে প্রতিশোধের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন কুশনার। কুশনারের রিয়েল এস্টেট ব্যাবসার সঙ্গে শ্বশুরের আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলোর একটি বড় যোগসূত্র থাকতে পারে। ব্যবসার শুরুর দিকে কুশনার নিউইয়র্কের ৬৬৬ ফিফথ এভিন্যুতে ১.৮ বিলিয়ন ডলারের একটি বিল্ডিং কিনেছিলেন। সেই সময়ে এটি ছিলো একটি রেকর্ড ভাঙা চুক্তি।

নিউইয়র্ক টাইমস’র সূত্র মতে, বর্তমানে বিল্ডিংটির এক-চতুর্থাংশ স্থান খালি পড়ে আছে। বিল্ডিংয়ের মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে কুশনারকে। তাই আরও ঋণের প্রয়োজন হয়ে পড়ে কুনারের। ২০১৫ সালে ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন কুশনার তখন তার শ্বশুরের সম্পত্তির রক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন। কাতারি বিলিয়নিয়ার শেখ হামাদ বিন আব্দুল্লাহ আল-থানি কে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী হিসেবে তিনি গণ্য করেছিলেন। থানির মালিকানাধীন কোম্পানি ‘এইচবিজে’ ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে সম্মতও হয়েছিলো। এছাড়াও চায়নিজ ইনসুরেন্স কোম্পানি ‘আনবাং’ গত মার্চে কুশনারের সম্পত্তি ব্যবসাকে আরও জোরদার করার জন্য প্রায় ৪ বিলিয়ন ঋণ দিতে সম্মত হয়। যদিও কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ‘আনবাং’ চুক্তি প্রত্যাহার করে নেয়। আনবাং-এর অসহোযোগিতার পর চুক্তি থেকে সরে যায় ‘এইচবিজে’ও। আর এ ঘটনার পরপরই একটি কূটনৈতিক সংকটের ঘেরাটোপে পড়তে শুরু করে কাতার। পরবর্তীতে সন্ত্রাসবাদের দায়ে অভিযুক্ত করে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব সহ উপসাগরীয় কয়েকটি রাষ্ট্র। ইরানের সঙ্গে সম্পর্কেরও অভিযোগ আনা হয় দেশটির বিরুদ্ধে। দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট