শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > কাটা পড়ছে ট্যানারির সব গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ

কাটা পড়ছে ট্যানারির সব গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: সময় চেয়ে আদালতে করা ট্যানারি মালিকদের আপিল খারিজ হওয়ার পর হাজারিবাগের সব চামড়া কারখানার বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ সব ধরনের সার্ভিস লাইন বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নিচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

হাজারিবাগ থেকে সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে ট্যানারি সরিয়ে নেওয়ার সময় চেয়ে ওই আপিল করা হয়েছিলো।  বুধবার (২৯ মার্চ) আদালত তা খারিজ করে দেন।

এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী সারওয়ার ইমতিয়াজ হাশমী বলেন,   আমরা আদালতের আদেশের অপেক্ষায় ছিলাম। যেহেতু তারা সময় চেয়ে আবেদন করেছিল, তাই অপেক্ষা করছিলাম কি আদেশ আসে। এবার আদেশ হাতে পেলেই হাজারীবাগের সব ট্যানারির সার্ভিস লাইন বিচ্ছিন্ন করা শুরু হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের এই কাজে তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি, ঢাকা ওয়াসা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগিতা করবে। সবার প্রচেষ্টায় আমরা দু’এক দিনের মধ্যে অভিযানে নামতে যাচ্ছি।

এর আগে ট্যানারি মালিকরা আদালতের আদেশের পর অস্থায়ী ভিত্তিতে কারখানা ‘লে অফ’ ঘোষণার কথা জানিয়েছিলেন। যদিও পরে তাদের সেই ঘোষণা বাস্তবায়িত হয়নি।

বুধবার আপিল খারিজ হওয়ার পর কথা হয় বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইএ) সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন এর সঙ্গে।

তিনি বলেন, আমাদের ট্যানারি মালিকরা আদালতের আদেশ সম্পর্কে অবগত। এখন আদালত যে আদেশ দিয়েছেন সেটা মেনেই নিতে হবে। যদি সার্ভিস লাইন কেটে দেয় তাহলে কিভাবে পরবর্তীতে এই শিল্প টিকিয়ে রাখা যায়, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবো।

তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ট্যানারি মালিকদের আরেক সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি শাহীন আহমেদ এর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, হাজারীবাগে ১৫৬টির মতো ট্যানারি এখনও রয়েছে। এরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সাভারে না যাওয়ায় তাদের সব সার্ভিস লাইন কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

বিএফএলএলএফইএ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন ট্যানারি মালিকরা। গ্যাস লাইন না থাকলে কাঁচা চামড়া প্রসেসিং বন্ধ হয়ে যাবে। এতে বায়াররা তাদের অর্ডার বাতিল করবে, বিকল্প জায়গা খুঁজবে।

বায়াররা বাংলাদেশের ট্যানারি বিমুখ হলে পরবর্তীতে তাদের ফিরিয়ে আনা কষ্টকর হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।