লাইফস্টাইল ডেস্ক ॥
ঢাকা: কাজের সময় রাজনীতি নিয়ে আলোচনা মোটেই ভালো ফলাফল দেয় না। এজন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের নীতিমালায় রাজনীতি ও ধর্ম বিষয়ে আলোচনা না করার নির্দেশনা দিয়ে রাখে। এক্ষেত্রে যদি আপনার প্রতিষ্ঠান কোনো নির্দেশনা নাও দেয় তার পরেও রাজনীতির মতো সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো। এক্ষেত্রে বহু বিষয় রয়েছে যা আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে। এ লেখায় রয়েছে তেমন কিছু বিষয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস নিউজ ডেইলি।
১. কর্মক্ষেত্রে রাজনীতির যে আলাপই হোক না কেন, আপনার অংশগ্রহণের প্রয়োজন নেই। মনে রাখতে হবে যে, এসব বিষয়ে আলোচনায় আপনার কোনোক্রমেই অংশগ্রহণ করা যাবে না। এমনকি আপনার সামান্য মতামত প্রকাশও বড় বিপদ বয়ে আনতে পারে।
২. কর্মক্ষেত্রে রাজনীতির আলোচনা অনেকেই ভালোভাবে নেয় না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় যখন একজন অন্যজনের কথার সঙ্গে একমত না হয়। এতে আলোচনা দীর্ঘায়িত হতেই থাকে। আর এতে আপনি অন্য কারো মত প্রভাবিত করতে পারবেন না। শুধু কথাই বলা হবে।
৩. আপনি যদি কোনো অলাভজনক বা স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানে রাজনীতির আলাপ করেন তাহলে তা প্রতিষ্ঠানটির মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। বাইরের কোনো মানুষ আপনার মতামতকে প্রতিষ্ঠানের মত বলে মনে করতে পারে। ৪. অস্পষ্ট কথা বলুন। আপনার কোনো কথা বা মতামত যদি রাজনীতির দিকে যেতে থাকে তাহলে তা অস্পষ্ট করে নিন। এতে কোনো নির্দিষ্ট দিকে পক্ষপাত বোঝা যাবে না।
৫. খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব সব ক্ষেত্রে কার্যকর নয়। আপনি কোনো একটি কর্মক্ষেত্রে অন্যের সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে তুমুল আলোচনা করলে কিংবা তা থেকে বিজয়ী হলেও তাতে কোনো লাভ নেই। উপরন্তু এতে আপনার সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে।
৬. রাজনৈতিক আলোচনায় পরিস্থিতি বুঝে নিন। কোনো একটি আলোচনা যখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তখন তা প্রশমিত করার ব্যবস্থা নিন। তবে এক্ষেত্রে আপনার বিবেচনাবোধের পরিচয় দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। পরিস্থিতি যদি ঠাণ্ডা করতে গিয়ে আরও গরম হয়ে যায় তাহলে তা বিপদ ডেকে আনবে।
৭. অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন। রাজনৈতিক আলোচনায় প্রায়শই মানুষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাই নতুন কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন।
৮. মনে রাখতে হবে, ভোটের বাক্সে কী ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে আপনার আলোচনার কোনো অর্থ নেই। এতে আপনি একমত হতে পারেন কিংবা নাও পারেন। কিন্তু তা নিয়ে কর্মক্ষেত্রে আলোচনায় শুধু সময়ই নষ্ট হবে।