শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > কলেরাসহ নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রোহিঙ্গা

কলেরাসহ নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রোহিঙ্গা

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে কলেরা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের ঘাটতি রয়েছে। দ্রুত সময়ের ব্যবধানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরণার্থী স্থাপনায় পরিণত হওয়া ক্যাম্পগুলোতে খাবার ও ঔষধের মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিবৃতি উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ‘পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার উচ্চ মাত্রায় ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে কলেরা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি। এ কারণে সবাই উদ্বিগ্ন।’ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রচেষ্টা জোরদার করা হচ্ছে উল্লেখ করে ডব্লিউএইচও বলেছে পরিস্থিতি এখনও মারাত্মক এবং চ্যালেঞ্জিং।

ডব্লিউএইচও বলছে, স্থানান্তরযোগ্য একাধিক মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। আর বাংলাদেশি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এক মাসে কমপক্ষে ৪৫০০ রোহিঙ্গাকে ডায়রিয়ার চিকিৎসা দিয়েছে। হাম ও পোলিও টিকা দিয়েছে আনুমানিক ৮০ হাজার শিশুকে।

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মাঝে রোগের প্রকোপ ও আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা প্রসঙ্গে কক্সবাজারের একজন স্থানীয় চিকিৎসক জানান, ৮/১০ দিন ধরে দীর্ঘ কষ্টকর পথ পেরিয়ে যারা বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়েছে সেসব রোহিঙ্গার শতকরা ৯০ ভাগই অসুস্থ। বিশেষ করে শিশুরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অপুষ্টিজনিত নানা রোগে ভুগছে। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০ জন শিশু মারা যাচ্ছে। এদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা না দেয়া হলে অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

এদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে রাখাইন থেকে পালিয়ে আশা উদ্বাস্তুদের মাঝে অন্তত: দু’জন রোহিঙ্গা নারীকে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশ পোস্ট ও সেনাক্যাম্পে হামলার অভিযোগ এনে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা, নির্যাতন ও বিতাড়ন শুরু করে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এবং বৌদ্ধ জঙ্গিরা। এরপর বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল নামে। শরণার্থীর সংখ্যা ৪ লাখ ৩৬ হাজার। বর্তমানে তারা আনুমানিক ৬৮টি ক্যাম্প ও স্থাপনায় রয়েছেন।