শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > প্রবাস > করোনায় কর্মহীন ইতালি প্রবাসীরা, রেমিট্যান্স কমার শঙ্কা

করোনায় কর্মহীন ইতালি প্রবাসীরা, রেমিট্যান্স কমার শঙ্কা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালি দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে করোনার প্রাদুর্ভাব শেষ না হতেই কাজ কমে গেছে ইতালির নাপলি অঞ্চলের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে। অনেকটা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার ফ্যাক্টরিগুলোতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা বলছেন, কবে নাগাদ নতুন কাজ আসবে সেটাও বলতে পারছে না কেউ। তাই কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ প্রবাসীদের।

নাপলি অঞ্চলের একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন মুহসিন ইমন। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। তিনি প্রায় সাত বছর ধরে সেখানে কাজ করছেন। তবে এই সময়ে কখনও কাজ কম ছিল না বলে জানান মুহসিন।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে কাজের কমতি ছিল না। মাঝে দেড় মাস বন্ধ থাকার পরও কাজ ছিল। কিন্তু হঠাৎ এই সময়ে এসে কাজ কমে গেছে।

কাজ কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, মূলত চীন থেকে কাজের প্রধান কাঁচামাল আসতো ফ্যাক্টরিগুলোতে। করোনার প্রভাবে চীন থেকে সেগুলো আসা বন্ধ হয়ে গেছে। তাই জুনের শুরুতেই অধিকাংশ ফ্যাক্টরিতে কাজ নেই। এ কারণে কিছুটা চিন্তায় ইতালি প্রবাসীরা।

কাজ কেমন কমেছে জানতে চাইলে অনিক হোসেন নামের একজন প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, এখন বলতে গেলে একেবারেই কাজ নেই। কিছু ফ্যাক্টরিতে কাজ আছে তাও খুব সীমিত। ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ কাজ কমে গেছে প্রত্যেক ফ্যাক্টরিতে।

এদিকে শুধু বাংলাদেশি প্রবাসীরা নয়, ওই অঞ্চলে কাজ করছেন ভারত, পাকিস্তান, সেনেগালসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিক। এমন অবস্থার মুখোমুখি হতে হচ্ছে সবাইকে।

দেশটির বেসরকারি একটি গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ইতালির নাপলি কাম্পানিয়া শহরে প্রায় ৩ শত ছোটবড় গার্মেন্টস পরিচালনা করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সেখানে বাংলাদেশি কর্মীদের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। এই বড় অংশ বাংলাদেশি ফ্যাক্টরিগুলোতে কাজের অবস্থা এমন, যা রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

ইতালিতে স্থানীয়ভাবে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল লোম্বার্ডি অঞ্চলের কোডোগনো শহরে। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি ওই শহরটি লকডাউন করে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে পার্শ্ববর্তী ভেনেতোসহ লোম্বার্ডি অঞ্চলের ৯টি শহর লকডাউন করা হয়। মার্চের প্রথম দিকে গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইতালিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।