বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > “কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন দেয়াই নন্দন পার্কের উদ্দেশ্য”

“কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন দেয়াই নন্দন পার্কের উদ্দেশ্য”

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: রাজধানী থেকে একটু দূরে সাভারের নবীনগর-চন্দ্রা হাইওয়ের বাড়ইপাড়া এলাকায় প্রায় ৩৩ একর জমির উপর অবস্থিত নন্দন পার্ক।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় বিষ্ময়কর, অভিনব, নয়নাভিরাম, রোমাঞ্চকর, নান্দনিক নন্দনপার্ক। স্বজন, সহকর্মী আর পরিবারের সব বয়সের সবাই মিলে আনন্দময় সারাদিন কাটাতে
নন্দন তুলনাহীন।সপরিবারে সারাদিন আনন্দ উপভোগ করার জন্য নন্দনপার্ক সাজানো হয়েছে বিশেষভাবে।
ঢাকার মতিঝিল থেকে এখানে বাসযোগে পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘন্টা। হানিফ, সুপার ও বিআরটিসি বাস সার্ভিস যোগে নন্দনে যাতায়াত করা যায়। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও এখানে আসা যায়। থিম পার্কের সামনে প্রায় ১,৫০০ গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।“কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন দেয়াই নন্দন পার্কের উদ্দেশ্য”
নন্দন থিম পার্কটির বিশেষত্ব হচ্ছে সবুজের সমারোহ। হাটতে হাটতে ক্লান্ত হলে/জিরিয়ে নিতে বসতে পারেন ঘাসের সবুজ গালিচাতে। আন্তর্জাতিক মানের রাইড, মানসম্পন্ন খাবারের দোকান ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সত্যিই ভ্রমনকারীদের বারংবার নন্দন পার্কে আসার ইচ্ছা জাগায়। সাথে রয়েছে সুনিশ্চিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও হকার মুক্ত পরিবেশ।
নন্দন পার্ক লিমিটেড এর হেড অব মার্কেটিং জুবায়েদ আল হাফিজ বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীদের অর্থায়নে নন্দন পার্ক লিমিটেড এবং ভারতের বৃহত্তম পার্ক পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান “নিকো পার্কস এন্ড রিসোর্টস লিঃ” এর সাথে যৌথ উদ্দ্যোগে এই পার্ক প্রতিষ্ঠিত।“কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন দেয়াই নন্দন পার্কের উদ্দেশ্য”
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্যান্য পার্কে ব্যয়বহুল সে তুলনায় নন্দন পার্ক মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষের জন্য সুস্থ বিনোদনের সুযোগ করে দিয়েছে।
এ পার্কে রয়েছে অত্যাধুনিক বিশ্বমানের ২৮ টি রাইড যার মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশের সর্ব প্রথম ফাইভ ডি সিনেমা, বাম্পর কার, কেবলকার, ওয়াটার কোষ্টার, মুনরেকার, টিল্ট এ হোর্য়াল, ক্যাটারপিলার, প্যাডেলবোট, জিপ স্লাইড, রক ক্লাইম্বিং, প্রভৃতি এবং ফান আর মাস্তির অপূর্ব আয়োজন ওয়াটার ওয়ার্ল্ড প্রভৃতি।বাংলাদেশের সর্ব প্রথম বিনোদন পার্কে ওয়াটার ওয়ার্ল্ড নিয়ে আসে নন্দন পার্ক। যারা উত্তাল সমুদ্রের আনন্দ উপভোগ করতে চান তারা নন্দনের ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে ঘুরে আসতে পারেন।“কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন দেয়াই নন্দন পার্কের উদ্দেশ্য”
যেহেতু ওয়াটার ফানের মজা নিতে গেলে বিশেষ পোশাকের দরকার, তাই ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে রয়েছে লকার ও চেঞ্জ রুম। আছে এক্সট্রা পোশাক ও তোয়ালে।
ওয়াটার ওয়ার্ল্ডের পানি প্রতি দিন বিশেষ প্রক্রিয়ায় পারিষ্কার করা হয়। যার ফলে পানি সবসমযই স্বচ্ছ। পানিতে যাতে কোন জীবানু না থাকে সেই জন্য সবরকমের স্বাস্থ্য সম্মত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত।“কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন দেয়াই নন্দন পার্কের উদ্দেশ্য”
এছাড়াও শিশুদের জন্য নন্দনে রয়েছে শিশুদের স্বপ্নভুবন – কিডস ড্রিমওয়ার্ল্ড। কিডস ড্রিমওয়ার্ল্ড এ আছে কেইভ ট্রেন, ফ্লাইং গো রাউন্ড, মিনি ক্যারেজেল, কিডি রকাস ইত্যাদি।
নন্দন পার্ক বাংলাদেশে বিনোদনের ইতিহাসে সংযোজন করেছে এক নতুন মাত্রা। বাংলাদেশে এই প্রথম নন্দন পার্কে স্থাপিত হয়েছে “ফাইভ-ডি সিনেমা থিয়েটার” – প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের এক নবতর সংযোজন, যা আপনাকে দেবে এক অসাধারন মজাদার অভিজ্ঞতা।“কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন দেয়াই নন্দন পার্কের উদ্দেশ্য”
নন্দন পার্কটি উদ্বোধনের পর থেকেই বিশেষ দিন যেমন স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ, পূজা, ১লা বৈশাখ ও বিভিন্ন উপলক্ষ্যে কনসার্টের আয়োজন হয়ে আসছে। তাছড়া কর্পোরেট পিকনিক, সভা -সেমিনার, মিটিং এর আয়োজন করা যায় এখানে।
প্রতিটি উৎসব উপলক্ষে নন্দন পার্ক দেয় আর্কষনীয় ও বিশেষ অফার। ঈদের সময় বিশেষ অফারের ব্যবস্থা রাখা হয়। ‘সুপার সেভার প্যাকেজ’। যার তিনটি প্যাকেজ কিনলে ১টি ফ্রি।
এছাড়াও ২০১৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় উর্তীন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য নন্দনের বিশেষ অফার। ৪৯০টাকার একটি টিকেট কিনতে আরেকটি টিকেট ফ্রি। এর জন্য পরীক্ষার্থীর রেজাল্টসশিট জমা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে অফারটি উপভোগ করতে পারবেন।“কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন দেয়াই নন্দন পার্কের উদ্দেশ্য”
প্রতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত নন্দন পার্কে ৭০০- ১০০০ টির মত পিকনিক, শিক্ষাসফর ও ফ্যামিলি ট্যুর অনুষ্ঠিত হয়।
সকল ঈদেই নন্দন পার্কের কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীদের জন্য নিয়ে আসে স্বল্প মূল্যের বিশেষ অফার। প্রতিটি ঈদের ৭দিন থাকে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। এর সংখ্যা দৈনিক ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। অন্যান্য দিন দৈনিক ১০০০ দর্শনার্থী মত নন্দন পার্কের। ২০১০ সালের ঈদে নন্দন পার্কে একদিনে সর্বোচ্চ ২৭ হাজার দর্শনার্থী আগমন ঘটে। “কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন দেয়াই নন্দন পার্কের উদ্দেশ্য”
নন্দন পার্ক শনিবার থেকে বৃহস্পতিবারে সকাল ১১ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শুধুমাত্র শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ ট পর্যন্ত খোলা থাকে।অতিথিদের জন্যে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিজস্ব একদল নিরাপত্তা কর্মী তৈরী করেছে সুকঠিন নিরাপত্তা বেষ্ঠনী।“কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন দেয়াই নন্দন পার্কের উদ্দেশ্য”
এযাবৎ বাংলাদেশে সকল বিনোদন পার্কগুলোর মধ্যে নন্দন পার্কের জনপ্রিয় সবচেয়ে বেশি। এই জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে পার্কটির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ।
বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম