রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > কমেছে কাঁচামরিচের ঝাল!

কমেছে কাঁচামরিচের ঝাল!

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে শীতকালীন পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। পণ্য আমদানি ধারাবাহিকভাবে বাড়ায় পণ্যের দর স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচামরিচের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। গত সপ্তাহে যেখানে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে, আজ হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে আলাপকালে এমনটিই জানা গেছে।
শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, স্বামীবাগ, কাপ্তানবাজার, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায়), সাদা গোলাকার বেগুন ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়, মরিচ ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়), টমেটো ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায়, শশা ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, করলা ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়, ঝিঙে ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, পটল ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়), কাকরোল ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়), ঢেঁড়স ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়), উচ্ছে ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায়), চিচিঙ্গা ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকায় (গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায়), পেঁপে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, জলপাই ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায়(গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায়), দোন্দল ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা(গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা থেকে ৫৫ টাকা,), বটবটি ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা (৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা), কচুর ছড়ি ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, কচুর লতি ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়, সাদা গোল আলু ২৪ টাকা থেকে ২৮ টাকায়, লাল গোল আলু ৩৬ টাকা থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিটি বড় লাউ ৪০ টাকায় এবং ছোট লাউ ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি ছোট কুমড়া ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা এবং বড় কুমড়া ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, বাজারে পণ্যের দর আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে। আরও কমবে। তবে আগের চেয়ে বাজার অনেকটা স্থিতিশীল। বাজারে গত সপ্তাহে যে ফুলকপি বা পাতাকপি বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় তা আজ (শুক্রবার) বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়। বিশেষ করে পাইকারি বাজারে আমদানি ধারাবাহিকভাবে বাড়ায় দর অনেকটা হাতের নাগালে আসছে।
সেগুনবাগিচায় কাঁচাপণ্যের ব্যবসায়ী আব্দুল হক বলেন, ‘আগে আড়তে গিয়ে মালামাল কিনতে অনেক চিন্তা করতে হতো। এখন আড়তে গিয়ে চিন্তা করতে হয় না। আমদানি বেশি দামও কমেছে। কমে কিনে কমে বিক্রি করি। বিক্রিও বেড়েছে।’
এদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানিয়েছেন, শীত যতই ঘনিয়ে আসছে বাজারে ততই আমদানি বাড়ছে। দিন দিন পণ্যের দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি বিদেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিকেজি দেশি রসুন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিকেজি আদা ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি হাঁসের ডিম ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির একশ ডিম ৭৫০ টাকায় এবং হাঁসের ডিম ৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম (সাদা) ১৬০ টাকা থেকে ১৬৫ টাকায়, ব্রয়লার মুরগি (লাল) ১৭০ টাকা থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে চালের দাম কিছুদিন আগে সামান্য বাড়লেও বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট চাল ৪২ টাকা থেকে ৪৩ টাকায়, নাজিরশাইল ৪৭ থেকে ৪৮ টাকায়, মোটা চাল ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শ্যামবাজার পাইকারি কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের নেতা ইদ্রিস হাওলাদার বাংলামেইলকে বলেন, ‘বাজারে শীতকালিন পণ্য আমদানি ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ফলে পণ্যের দাম আগামী দুই মাস ক্রেতাদের হাতের নাগালে থাকবে।’ বাংলামেইল২৪ডটকম