লাইফস্টাইল ডেস্ক ॥ আমরা সবাই বলছি বেশি, শুনছি কম। অথচ বলার চেয়ে শোনার মধ্য দিয়ে সমস্যা সমাধানে অতুলনীয় ক্ষমতার অধিকারী হওয়া যায়। ভালো শ্রোতা সহজেই অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি করতে পারেন, ধৈর্যশীল ও পছন্দের মানুষে পরিণত হন।
কথা হোক চোখে চোখে: মনোযোগের প্রধান বাহক হচ্ছে চোখ। চোখ দেখে একজন মানুষের প্রায় সবকিছুই আন্দাজ করা যায়। শ্রোতার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন কিনা, তাও আপনার চোখ দেখেই বোঝা যাবে। সুতরাং বক্তার চোখে চোখ রেখে কথা শুনুন।
কথা শেষ হতে দিন: বক্তা যখন কথা বলেন, তার মাঝখানে হঠাৎ থামিয়ে দিয়ে কিছু বলবেন না। বলার আগে তার বক্তব্য শেষ হতে দিন।
বক্তার স্বাচ্ছন্দ্য: বিষয়বস্তু সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করতে গিয়ে অতিরিক্ত কথা বলা ঠিক নয়। বক্তার স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করাই ভালো শ্রোতার কর্তব্য।
মুখোমুখি: কথা শোনার সময় এমনভাবে বসা উচিত, যাতে বক্তার চেহারা ঠিকমতো দেখা যায়। আর বক্তাও যেন শ্রোতার চেহারা দেখতে পান।
হাওয়া দিন: আলাপ চলাকালে মাঝে মধ্যে ছোট ছোট প্রাসঙ্গিক শব্দ উচ্চারণ করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করুন। অনেকটা পালে হাওয়া দেয়ার মতো। যেমন ‘তাই নাকি?’, ‘বলেন কি!’ ইত্যাদি। এতে শ্রোতার মনোযোগ বুঝতে পারেন বক্তা।
ভালো স্মরণশক্তি: একজন ভালো শ্রোতা ভালো স্মরণশক্তির অধিকারীও হন। বক্তা মাঝে মধ্যেই কথা বলতে গিয়ে কী প্রসঙ্গে আলোচনা করতে চাইছিলেন, তা ভুলে যান। তখন শ্রোতাকে মনে করিয়ে দিতে হয়। তাছাড়া আলোচনা শেষ হওয়ার পরও নানা কারণে কী বিষয়ে কী আলোচনা হলো, তা পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন পড়ে।
যখন ভালো না লাগে: যদি এমন হয় যে, বক্তার কথা শুনতে ভালো লাগছে না; না শুনেও উপায় নেই। এটাও প্রমাণ করতে হবে যে, আপনি মনোযোগ দিয়ে শুনছেন না, তাহলে প্রথমত এমনভাবে বসুন, যাতে আপনার মুখে সরাসরি আলো না পড়ে। তখন কাজ হবে তার চোখে চোখ রেখে মাঝে মধ্যে বিরস চাহনি করা।