শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ উইকেটে জয়ী

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ উইকেটে জয়ী

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥ তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ উইকেটে জয় পেলো। বাংলাদেশ ভালো বল করেও জয়ী হতে পারেনি। জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২১৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল সফরকারী বাংলাদেশ। রানটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। আর তাই দেখা যায় ৩৯.৪ ওভার ৭ উইকেটে ২১৯ করে জয় ছিনিয়ে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।পোলার্ড করেন ৮৯ রান। আল আমিন উইকেট পেয়েছেন ৪টি।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের শতরানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২১৭ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে বাংলাদেশ। এনামুল হক বিজয় বলতে গেলে একাই দলের ইনিংস টেনে নিয়ে যান। এক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলেও অপর প্রান্ত আগলে রাখেন এনামুল হক বিজয়। একমাত্র এনামুল হক বিজয় ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান তাদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
১৩৮ বল মোকাবেলায় ১০৯ রান করে আউট হন এনামুল। ৫০ ওভারের শেষ বলে ডোয়াইন ব্র্যাভোর বলে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন তিনি। এনামুল ১১টি বাউন্ডারি ও একটি বিশাল ছক্কা হাঁকান। এটি তার তৃতীয় ওয়ানডে শতক।
৪১ রান তুলতেই বিদায় নেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল। জেসন হোল্ডারের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে মিডউইকেটে কিরন পোলার্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তামিম। ৪৭ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ২৬ রান করেন তামিম ইকবাল।
তামিমের বিদায়ের পর দলীয় ৬৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় সফরকারিরা। ১২ বলে ৯ রান করা ইমরুল কায়েস রান আউটের শিকার হন। এনামুল হক বিজয় ও শামসুর রহমান রান নিতে গিয়ে দু’জনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে শামসুর রহমান দুর্ভাগ্যজনক রান আউট হন।
৮০ রানে চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা শামসুর রহমান অধিনায়ক ডোয়াইন ব্র্যাভোর বলে উইকেটের পেছনে দিনেশ রামদিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। শামসুর রহমান ৮ রানের বেশি এগুতে পারেননি।
এরপর এনামুল ও মুশফিকুর রহিম জুটি ৩৭ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন। ক্রিস গেইলের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে মুশফিকুর রহিম সুনীল নারাইনের হাতে ধরা পড়েন। দলীয় রান তখন ১১৭। মুশফিক ২১ বল মোকাবেলায় করেন ১২ রান।
১৪১ রান ডোয়াইন ব্র্যাভোর বলে মাহামুদুল্লাহ রিয়াদের স্ট্যাম্প উড়ে গেলে পঞ্চম উইকেট হারায় সফরকারিরা। রিয়াদ ১১ করেন ১১ রান।
১৯৪ রানে নাসির হোসেন আউট হলে ষষ্ঠ উইকেট হারায় মুশফিকরা। এনামুল-নাসির জুটি ষষ্ঠ উইকেটে ৫৩ রান যোগ করেন। নাসির হোসেন করেন ২৬ রান। ২০১ রানে সোহাগ গাজী, ২১৭ রানে মাশরাফি এবং একই রানে এনামুল হক বিজয় আউট হলে নবম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দশম ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদ কোনো বল মোকাবেলার সুযোগ পাননি।
ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে অধিনায়ক ডোয়াইন ব্র্যাভো একাই শিকার করেন চার উইকেট। রাভি রামপাল, জেসন হোল্ডার ও ক্রিস গেইল শিকার করেন একটি করে উইকেট। বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান রান আউটের শিকার হন।
স্কোরবোর্ড
বাংলাদেশ
তামিম ক পোলার্ড ব হোল্ডার ২৬ ৪৭ ৩ ০
এনামুল এলবিডব্লু ব ডোয়াইন ১০৯ ১৩৮ ১১ ১
ইমরুল রান আউট ৯ ১২ ১ ০
শামসুর ক রামদিন ব ডোয়াইন ৮ ১৪ ১ ০
মুশফিক ক নারাইন ব গেইল ১২ ২১ ০ ০
মাহমুদউল্লাহ ব ডোয়াইন ১১ ২১ ১ ০
নাসির ক রামদিন ব রামপল ২৬ ৩৮ ২ ০
সোহাগ রান আউট ২ ৫ ০ ০
মাশরাফি ক পোলার্ড ব ডোয়াইন ৩ ৫ ০ ০
তাসকিন অপরাজিত ০ ০ ০ ০
অতিরিক্ত (লেবা ২, ও ৮, নো ১) ১১
মোট (৫০ ওভারে, ৯ উইকেটে) ২১৭
উইকেট পতন: ১-৪১ (তামিম, ১২.১ ওভার), ২-৬৯ (ইমরুল, ১৬.৬), ৩-৮০ (শামসুর, ২০.১), ৪-১১৭ (মুশফিকুর, ২৭.৬), ৫-১৪১ (মাহমুদউল্লাহ, ৩৩.৫), ৬–১৯৪ (নাসির, ৪৬.৬), ৭–২০১ (সোহাগ, ৪৮.১), ৮–২১৭ (মাশরাফি, ৪৯.৪), ৯–২১৭ (এনামুল, ৪৯.৬)।
বোলিং: রোচ ১০-০-৪৮-০ (ও ১), রামপল ১০-১-৪৮-১ (ও ৩), হোল্ডার ৯-০-৩৯-১ (ও ১), ডোয়াইন ৭-০-৩২-৪ (নো ১, ও ৩), নারাইন ১০-১-২৯-০, গেইল ৪-০-১৯-১।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
গেইল ক আল আমিন ব মাশরাফি ৩১ ৮ ০ ০
এডওয়ার্ডস ব মাহমুদউল্লাহ ১০ ৩২ ০ ০
ড্যারেন ক মুশফিক ব আল আমিন ৭ ১৪ ১ ০
সিমন্স ক মুশফিক ব আল আমিন ০ ২ ০ ০
রামদিন ব সোহাগ ৭৪ ৭৬ ৬ ১
ডোয়াইন ক সোহাগ ব আল আমিন ৫ ৬ ১ ০
পোলার্ড ক মাহমুদউল্লাহ ব আল আমিন ৮৯ ৭০ ৫ ৬
হোল্ডার অপরাজিত ২২ ১৫ ৩ ০
নারাইন অপরাজিত ৩ ৫ ০ ০
অতিরিক্ত (লেবা ১, ও ৫) ৬
মোট (৩৯.৪ ওভারে, ৭ উইকেটে) ২১৯
উইকেট পতন: ১-৯ (গেইল, ৫.৩), ২-২০ (ড্যারেন, ৯.৬), ৩-২০ (এডওয়ার্ডস, ১০.৪), ৪-২২ (সিমন্স, ১১.২), ৫-৩৪ (ডোয়াইন, ১৩.১), ৬–১৭৯ (রামদিন ৩৪.৬), ৭–২০১ (পোলার্ড, ৩৭.৩)।
বোলিং: সোহাগ ৯-১-৪৬-১, মাশরাফি ৮-২-২২-১, মাহমুদউল্লাহ ৪-০-২০-১, আল আমিন ৮.৪-০-৫১-৪, তাসকিন ৭-০-৪৬-০, নাসির ২-০-২০-০, শামসুর ১–০–১৩–০।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: পোলার্ড।