বাংলাডেস্ক ॥
সাভারে রানা প্লাজা ধসের ১৭ দিন পর উদ্ধার হওয়া গার্মেন্টস কর্মী রেশমা চাকরি হারাতে পারেন বলে জানা গেছে।
রেশমা বর্তমানে রাজধানীর অভিজাত পাঁচ তারকা হোটেলে ওয়েস্টিনে উচ্চ বেতনে চাকরি করছেন।
সম্প্রতি তার উদ্ধার কাহিনী নিয়ে দেশি ও বিদেশি পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়াতে নানা রকমের খবর প্রকাশিত হয়েছে। এসব খবর যদি সত্যি বলে প্রমাণিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে ওয়েস্টিনের একাধিক কর্মকর্তা।
গত ২৪ এপ্রিল অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা সাভারের যুবলীগ নেতা সোহেল রানার ভবনটি ধসে পড়ে। ভবন ধসে ১১৩০ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আরও হাজারও শ্রমিক। যাদের অধিকাংশই এখন পঙ্গু।
১১৩০ জনের মৃত্যু এবং হাজার হাজার শ্রমিকের আহতের ঘটনাকে ছাপিয়ে ১৭ দিন পর ধসে পড়া ভবনের নিচ থেকে বের করা হয় রেশমাকে। তারপরেই তাকে নিয়ে মেতে ওঠে সারা দেশ।
দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এমনকি বিদেশেরও নানা প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির অফার দেয়া হয় রেশমাকে। পাল্টে যেতে থাকে রেশমার জীবন কাহিনী। যে রেশমা গার্মেন্টসে স্বল্প পেতনে চাকরি করতো তাকে দেয়া হয় ৪০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি।
চাকরিতে যোগদান পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক রেশমাকে প্রশ্ন করেন, আপনি তো ভবন ধসের পর এনাম মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। পরে আবার কি করে গর্তে গেলেন। এমন প্রশ্নে অবাক হয়ে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
রেশমার উদ্ধার কাহিনী নিয়ে সর্বপ্রথম আমারদেশ তার অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে রেশমার উদ্ধারের চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ভবন ধসের পর রেশমা এনামুলের হাত ধরে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে।
এনাম মেডিকেলে সে চিকিৎসাও নেয়। তারপরই আর খোঁজ মেলিনি রেশমার। পরে ১৭ দিন পর উদ্ধার কর্মীদের হাত ধরে আবার বেরিয়ে আসে সে।
সর্বশেষ বৃটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা ডেইলি মিরর ও ডেইলি মেইলের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে একই তথ্য। তারা দাবি করে রেশমার উদ্ধার কাহিনী ছিলো সাজানো নাটক।
এদিকে, ওয়েস্টিনের কর্মকর্তারা বলছেন, রেশমার উদ্ধার কাহিনী নিয়ে পত্র-পত্রিকাতে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা নিয়ে অনুসন্ধান করা হবে। যদি পত্রিকাতে প্রকাশিত সংবাদ সঠিক হয় তাহলে রেশমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রেশমাকে নিয়ে পত্র-পত্রিকাতে খবর প্রকাশ হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে দেশের বিশিষ্টজনেরা। তারা বলছেন, রেশমার উদ্ধার যদি সত্যিই সাজানো হয় তাহলে তার উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।
কারণ, এই সাজানো নাটকের কারণে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের সুনাম অনেক নষ্ট হবে।