স্পোর্টস ডেস্ক :
২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী মেসুত ওজিলকে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার পর শুনতে হয়েছিল বর্ণবাদী কথাবার্তা।বিশ্বকাপের আগেই ঝামেলায় পড়েছিলেন ওজিল। সতীর্থদের কাছ থেকে সহানুভূতি পেলেও ওজিলকে তিরস্কার করছেন বায়ার্ন মিউনিখ সভাপতি হোয়েনস। ওজিলের এ সিদ্ধান্তে বেজায় খুশিও হয়েছেন তিনি। তাঁর চোখে গত চার বছর ধরেই জঘন্য খেলছিলেন ওজিল।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করে আর্সেনালের জার্সি উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরেক তুর্কি বংশোদ্ভূত ফুটবলার ইলকায় গুনদোয়ান। এ ব্যাপারটা জার্মানরা মেনে নিতে পারেনি। তুরস্ক আর জার্মানির কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছিলেন ওজিল আর গুনদোয়ান। জার্মান সংবাদমাধ্যম রীতিমতো মানসিক অত্যাচার করেছে ওজিলের ওপর।
জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান রেইনহার্ড গ্রিনডেল বলেছিলেন, ওজিলের উচিত সমর্থকদের কাছে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়া। দলের হর্তাকর্তাদের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ ওজিল যত দিন জার্মান দলের মধ্যে বর্ণবাদী আচরণ থাকবে, তত দিন আর জাতীয় দলে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তার এ সিদ্ধান্তে অনেকেই হতবাক হয়েছেন। আবার অনেকেই হয়েছেন ক্ষুব্ধ।
তবে ওজিলের ওপর এতটাই বর্ণবাদী হোয়েনস যে তাকে জার্মান দলে আর না ফেরানোর কথা বলছেন তিনি। ১৯৭৪ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য এই জার্মানের ভাষায়, ‘আমি খুশি এ ঘটনা এখানেই শেষ হচ্ছে। সে বহু বছর ধরেই জঘন্য খেলছিল। সে সর্বশেষ কোনো ট্যাকল জিতেছিল ২০১৪ বিশ্বকাপের আগে। এখন সে আর ওর বাজে পারফরম্যান্স এখন এ ছবির (ওজিল ও এরদোয়ানের ছবি) পেছনে লুকাচ্ছে।’ সূত্র: একুশে টেলিভিশন