শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > এসি নয়, গ্যাস থেকে মসজিদে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিস

এসি নয়, গ্যাস থেকে মসজিদে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিস

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণ এসি নয় গ্যাস লাইন থেকে ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস।

গতকাল শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ কথা জানান তিনি।

ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, মসজিদের মেঝেতে একটি গ্যাস পাইপ রয়েছে। আর এ পাইপের লিকেজ দিয়ে মসজিদের ভেতর গ্যাস জমা হয়। মসজিদে এসি চলার কারণে দরজা জানালা সব বন্ধ রাখা হয়। আলো বাতাস বের হতে পারে না। ফলে নির্গত গ্যাস বের হতে পারেনি। বিস্ফোরণের আগে বিদ্যুতের কোনো কিছু জালানোর সময় স্পার্কিং করে। আর সেই স্পার্কিং থেকে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

তিনি বলেন, মসজিদের মেঝেতে থাকা পানিতে গ্যাসের বুদবুদ ওঠায় সন্দেহ হয়। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় মসজিদের নিচ দিয়ে তিতাস গ্যাসের অনেকগুলো লাইন গেছে। আর পাইপগুলোর প্রতিটিতে একাধিক লিকেজ রয়েছে। সেই লিকেজের গ্যাস সব সময় মসজিদে ওঠতো। আর নামাজের আগে থেকে মসজিদের দরজা জানালা বন্ধ করে এসি চালু করার ফলে পুরো রুমে এসি ও গ্যাস মিশে যায়। আর তাতে করে ভয়াবহ এ বিস্ফোরণ ঘটে। এসি বিস্ফোরণ হওয়ার কারণ হলো এসিতে গ্যাস ছিল।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বলেন, আমরা ধারণা করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা দ্রুত এখানে এসে আমাদের ধারণাকে নিশ্চিত করে। তারা জানান- গ্যাসের লাইন থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে।

এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, মসজিদের ভেতর দিয়ে গ্যাস লাইন এবং গ্যাস লাইনে লিকেজের সমস্যা বিষয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষ একাধিকবার বলার পরও তারা কর্ণপাত করেনি। এমনকি লাইন সরানোর জন্য তিতাসের লোকজন মোটা অংকের টাকা দাবি করে। যার কারণে এলাকার লোকজন ও মসজিদ কমিটি হতাশা নিয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষকে আর কিছু বলেনি। তিতাসের গাফলতির কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটলো। এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ তিতাস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন এলাকাবাসী।

এদিকে মসজিদের এসি বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন।